Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দু’সপ্তাহ আগেই বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মায়ানমার ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশ (Pakistan Earthquake)। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কম্পন অনুভূত হল দক্ষিণ এশিয়ায়। শনিবার দুপুরে আচমকা ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ ও আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৩। এই কম্পন ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরেও অনুভূত হয়।
কখন ভূমিকম্প? (Pakistan Earthquake)
ভারতের জাতীয় ভূকম্পনকেন্দ্র (National Center for Seismology)-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ১টা নাগাদ ভূমিকম্প হয় (Pakistan Earthquake)। ভূকম্পনের উৎসস্থল ছিল ইসলামাবাদ সংলগ্ন এলাকায়, মাটির প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। পাকিস্তানের সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি বা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে কম্পনের সময় আতঙ্কে বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
কম্পনের প্রভাব কোন কোন এলাকায়? (Pakistan Earthquake)
কম্পনের প্রভাব সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায়ও টের পাওয়া যায়(Pakistan Earthquake)। সোপিয়ান, শ্রীনগর, জম্মু সহ একাধিক এলাকায় বাড়ির দেওয়াল দুলে উঠতে দেখা যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। কিছু সিসি ক্যামেরায় ভূমিকম্পের সময়কার দৃশ্য ধরা পড়ে— মানুষজন দোকান ও বাড়ি থেকে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছেন, বাসনপত্র দুলছে।

সিসমিক জোন(Pakistan Earthquake)
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল যেহেতু মাটির তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম গভীরে ছিল, তাই তীব্রতা সীমিত হলেও কম্পন ছিল স্পষ্ট ও আতঙ্কজনক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলটি ভূকম্পপ্রবণ ‘সিসমিক জোন ৪ ও ৫’-এর মধ্যে পড়ে, যেখানে মাঝেমধ্যেই মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়।

সম্প্রতি একাধিক ভূমিকম্প (Pakistan Earthquake)
সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী আফটারশকে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩ হাজার মানুষের, আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি। মায়ানমারের কম্পনের অভিঘাত এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তা দিল্লি পর্যন্ত টের পাওয়া গিয়েছিল। এমনকি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে এক নির্মীয়মাণ বহুতল ধসে পড়ে।
বড় বিপর্যয়ের পূর্বাভাস (Pakistan Earthquake)
এই প্রেক্ষাপটে, পাকিস্তানে নতুন করে ভূমিকম্পের ঘটনা মানুষকে আরও চিন্তিত করে তুলেছে। বিশেষ করে এই অঞ্চলের ভূকম্পনীয় ইতিহাস এবং কাঠামোগত দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের কম্পন আরও বড় বিপর্যয়ের পূর্বাভাস হতে পারে। সরকারি ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দ্রুত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকায় গৃহ ও অবকাঠামো নির্মাণে আরও বেশি সচেতনতা ও প্রযুক্তিগত মান বজায় রাখার উপর জোর দিচ্ছেন ভূতত্ত্ববিদরা।