ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের ভূখণ্ডে পাক গুপ্তচর নেটওয়ার্ক কতটা গভীরে শিকড় ছড়িয়েছে, তা ফের একবার সামনে এলো পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তে (Pakistani Spy Link)। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সিআরপিএফ-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর মতিরাম জাটকে। চাঞ্চল্যকরভাবে, পহেলগাঁও হামলার মাত্র ছ’দিন আগেই বদলি করা হয়েছিল তাঁকে ওই এলাকা থেকে। এই তথ্য সামনে আসার পর নিরাপত্তা মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
পহেলগাঁও হামলার আগে বদলি (Pakistani Spy Link)
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক (Pakistani Spy Link)। এই ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে। একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, পহেলগাঁও কাণ্ডের মাত্র ছয় দিন আগে, ১৭ এপ্রিল, সেখান থেকে বদলি করা হয় মতিরামকে। তিনি তখন সিআরপিএফ-এর ১১৬ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। এর পরেই ঘটে সেই মর্মান্তিক হামলা।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বহিষ্কার, এনআইএ হেফাজতে (Pakistani Spy Link)
মতিরামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সাল থেকে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতেন তিনি। বদলে মোটা টাকা পেতেন। এসব তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাঁকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)। তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক ১৫ দিনের এনআইএ হেফাজত মঞ্জুর করেন।

আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণ (Pakistani Spy Link)
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, “এই অভিযোগ শুধু ভারতের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশে আসা বিদেশি পর্যটক এবং সাধারণ নাগরিকদের জীবননাশেরও কারণ। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য যদি বিশ্বাসঘাতকতায় লিপ্ত হন, তা দেশের জন্য ভয়াবহ। দ্রুত এবং কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
পহেলগাঁও কাণ্ডে পাকিস্তানি যোগ? (Pakistani Spy Link)
পহেলগাঁও হামলার তদন্ত আগেই এনআইএ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মতিরামের গ্রেফতারি তদন্তে পাক গুপ্তচর নেটওয়ার্কের গভীরতা এবং হামলার পূর্ব-পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

আরও গ্রেফতার, নেটমাধ্যম-প্রভাবীদেরও নজরে এনআইএ (Pakistani Spy Link)
এই মামলার জেরে পাক গুপ্তচর-যোগে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাঁদের বেশির ভাগই পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পাশাপাশি, নেটমাধ্যম-প্রভাবশালী জ্যোতি মলহোত্রার ভূমিকা নিয়েও তদন্ত চলছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিছু তথ্য পাচার হত বা বিপথগামীদের প্ররোচিত করা হত।
সামরিক ও পর্যটন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন (Pakistani Spy Link)
মতিরামের মতো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের পাক চর হিসেবে গ্রেফতার হওয়া দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপরে গভীর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিশেষ করে পহেলগাঁওয়ের মতো পর্যটক-প্রবণ এলাকায় এমন চরবৃত্তি চলার পরেও তা নজরে না আসায় চাপে নিরাপত্তা বাহিনী।পাক গুপ্তচরবৃত্তির এই নতুন মোড় ও পহেলগাঁও হামলার যোগসূত্র ভবিষ্যতে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল। মতিরামের বিরুদ্ধে তদন্তে আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে পারে, যার ভিত্তিতে বড়সড় পাক গুপ্তচরচক্র ভাঙতে পারে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।