ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শীতকালে ঠাণ্ডা যত পরতে থাকে, তত মানুষের নতুন নতুন খাবার (Paratha Recipe) খাওয়ার ইচ্ছেও বাড়তে থাকে। বাজারে যত ধরণের সবজি আসে সব যেন ঠিকঠাক করে খাওয়া হয়, এটাই যেন হয়ে ওঠে মূল লক্ষ্য। আর বিভিন্ন ধরণের সবজি খাবার টেস্টি উপায় হল পরোটা। রায়তার সঙ্গে পরোটা হলে শীতের রাত যেন জমে যায়। আজকের প্রতিবেদনে তাই রইলো নানান ধরণের পরোটার রেসিপি।
আলু পরোটা (Paratha Recipe)
আলু পরোটা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় (Paratha Recipe) একটি খাবার। এর মধ্যে আলুর মশলাদার পুর ভরা থাকে, যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। এটি তৈরি করতে প্রথমে আলু সেদ্ধ করে তার সঙ্গে আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা, হালকা মশলা (জিরে, গরম মশলা, হলুদ) মিশিয়ে পুর তৈরি করুন। এরপর আটা বা ময়দা মেখে তার মধ্যে এই পুর ভরে বেলে তাওয়ায় ভেজে নিন। গরম গরম আলু পরোটা সস বা রায়তার সঙ্গে পরিবেশন করুন।
পনির পরোটা (Paratha Recipe)
পনির পরোটা একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার (Paratha Recipe)। পনিরের স্বাদ পরোটায় এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। এই পরোটা তৈরির জন্য পনির গ্রেট করে তার সঙ্গে মশলা, কিশমিশ মিশিয়ে পুর তৈরি করতে হবে। তারপর সাধারণ পরোটা বানানোর মতো আটা বা ময়দা মেখে পুরটি ভরে পরোটা বেলে তাওয়ায় সেঁকে নিন।
আরও পড়ুন: Acidity Home Remedy: গ্যাস-অম্বলের সমস্যা?রান্নাঘরের জিনিসেই সমাধান!
স্পিনাচ পরোটা (Paratha Recipe)
শীতকালীন সুষম খাদ্যের অন্যতম উপাদান হলো পালং শাক। এটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর একটি সবজি (Paratha Recipe)। পালং শাক কুঁচিয়ে তার সাথে মশলা মিশিয়ে আটা মেখে পরোটা বানানো হয়। পালং শাক পরোটার স্বাদ এবং পুষ্টিমান বাড়িয়ে দেয়, যা শীতে শরীরের জন্য খুব উপকারী।

মেথি পরোটা
শীতের শাকসবজির মধ্যে (Paratha Recipe) মেথি শাক অত্যন্ত জনপ্রিয়। মেথি পরোটা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এটি স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। মেথি পাতা কুঁচিয়ে তার সাথে মশলা ও ময়দা মিশিয়ে মেখে নিন। তারপর তা বেলে, তাওয়ায় সেঁকে গরম গরম পরিবেশন করুন। মেথি পরোটা দই, আচার বা সবজির তরকারি দিয়ে খেতে দারুণ লাগে।
আরও পড়ুন: Morning Yoga Poses: রোজ সকালে করুন এই পাঁচ যোগ ব্যায়াম, শরীর থাকবে ভালো, মন হবে চাঙ্গা!
মিষ্টি পরোটা
মিষ্টি পরোটা হচ্ছে একটি আকর্ষণীয় ও সুস্বাদু পছন্দের খাবার, যা বিশেষ করে বাচ্চাদের খেতে খুব ভালো লাগে। মিষ্টি পরোটা তৈরির জন্য আটা মেখে তার মধ্যে গুড় বা চিনির মিশ্রণ পুর হিসেবে ভরে সেঁকে নিতে হবে। এটি বিশেষভাবে শীতকালে খুব জনপ্রিয়, কারণ গুড়ের স্বাদ একমাত্র শীতকালেই ভালো পাওয়া যায়।