ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রস্রাব পান করা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal)। নানা কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। এমনকি অনেকে তাঁকে বিপজ্জনক বলে দাবি করেছিলেন। আবার অনেকে তাঁকে নিয়ে হাসি ঠাট্টাও করেছিলেন। তবে এবার তিনি মুখ খুললেন সে বিষয়ে। অন্যদিকে ‘হেরা ফেরি থ্রি’ নিয়েও নানান বিতর্ক ওঠে। সেখানেও অক্ষয় কুমারকে (Akshay Kumar) তিনি বন্ধু না বলে সহকর্মী বলেছেন। তাতেও নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পরেশকে।
চুপ থাকলেন না (Paresh Rawal)
বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের (Paresh Rawal) প্রস্রাব পান করা নিয়ে নানা বিতর্কর সৃষ্টি হয়। এমন কি তাঁকে নানা সমালোচনা শিকার হতে হয়। তবে সমালোচকদের উদ্দেশ্যে এবার মুখ খুললে অভিনেতা। অভিনেতা সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি তো তাঁদের প্রস্রাব পান করতে বলেননি। নাকি তিনি তাঁদেরকে প্রস্রাব পান করতে দেননি বলে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। অভিনেতার মতে, এই ঘটনা প্রায় ৪০ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা। তিনি বলেন, তিলকে তাল করতে ওদের ভালো লাগে। ওই নিয়েই নিন্দুকরা আনন্দ করুক।
কী ঘটেছিল? (Paresh Rawal)
শোনা যায়, ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালীন হাঁটুতে চোট পান পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal)। এমনকি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তিনি ভেবেছিলেন এবার মনে হয় তাঁর কেরিয়ার শেষ। তবে হাসপাতালে সেই সময় উপস্থিত হয় বীরু দেবগন। পরেশের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন বীরু দেবগন। তিনি তখন পরেশের পায়ের অবস্থা জেনে বলেছিলেন, সকালে উঠে সবার আগে নিজের প্রস্রাব পান করতে। এটা নাকি অনেক স্টান্টম্যান করে থাকেন। পরেশ রাওয়ালও (Paresh Rawal) এই কাজ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: Deepika Padukone: মা হতেই কাজ হারাচ্ছেন দীপিকা! বিস্ফোরক বিদ্যা বালান
টানা ১৫ দিন এই কাজ
টানা ১৫ দিন নাকি নিজের মূত্র পান করেছিলেন তিনি। এবং পাঁচ দিন পর ডাক্তার পরেশের এক্স রে রিপোর্ট দেখে অবাক হয়েছিলেন। ডাক্তার বলেছিলেন, ‘এই ভাঙ্গা হাড়ের উপর এই প্রলেপ কীভাবে এসেছিল?’ পরেশের হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা ছিল আড়াই মাসের মধ্যে। সেখানে তাঁকে দেড় মাসের মধ্যে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Aircraft crashes in Dhaka: ভগ্ন হৃদয়ে জয়া চঞ্চলরা, কানের কাছে বাজছে শিশুদের আর্তনাদ!
‘বন্ধু’ শব্দের অর্থ
অন্যদিকে ‘হেরা ফেরি থ্রি’ প্রসঙ্গে অক্ষয় কুমারকে (Akshay Kumar) তিনি সহকর্মী বলেছিলেন। এর ফলেও পরেশকে নানান রকম মন্তব্য শুনতে হয়। সে প্রসঙ্গে অভিনেতা মনে করেন, তিনি অক্ষয়কে সহকর্মী মনে করেন, বন্ধু নয়। আসলে অভিনেতার মতে, ‘বন্ধু’ শব্দের অর্থ আলাদা। সেখানে ‘বন্ধু’ মানে কোনও ব্যক্তির কথা বলা অর্থাৎ যার সাথে মাসে ৫ থেকে ৬ বার দেখা করা। সপ্তাহে কয়েকবার কথা হওয়া। সেখানে অক্ষয়ের সাথে তাঁর কাজের সূত্রে দেখা বা কথা হয়। তাই অক্ষয় কুমারকে তিনি তাঁর কলিগ বলে মনে করেন। আর মানুষ এ নিয়েও জল্পনা-কল্পনা শুরু করে।