ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শুক্রবার সকালে টলিপাড়ায় (Tollywood) অন্য চিত্র। ‘গণছুটি’তে পরিচালকরা। আউটডোর শুটিং চললেও, ইনডোর শুটিং ফ্লোরে পরিচালকরা উপস্থিত হননি। কিন্তু পরিচালকদের ছাড়া কাজ হবে কী করে? সেই নিয়েই দ্বন্দ্বে টলিউডের কলাকুশলীরা। ফেডারেশনে এবং ডিরেক্টরস গিল্ডের সমস্যার জেরে প্রশ্নের মুখে টলিপাড়ার শুটিং। পরিচালক সংস্থা কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে। সেই শর্ত ফেডারেশন মানলে, তবেই তারা ফ্লোরে ফিরবেন। শুক্রবার সকালে ফ্লোরে আর্টিস্টরা এলেও তাদেরকে সিন দেওয়া হয়নি। তারপর ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস আসেন। তিনি বিষয়টা খতিয়ে দেখেন, যে কোন কোন স্টুডিওতে শুটিং হচ্ছে, আর কোন কোন স্টুডিওতে শুটিং হচ্ছে না।
দাসানি স্টুডিওর চিত্র (Tollywood)
শুক্রবারের দাসানি ওয়ান স্টুডিওর চিত্রটা ঠিক কেমন ছিল (Tollywood)? সকাল থেকেই স্টুডিওতে সমস্ত টেকনিশিয়ানরা এসে কাজ করছেন। আর্টিস্টরাও উপস্থিত। তারা মেকআপ রুমে মেকআপ করছেন। সোজা কথায়, শুটের জন্য সবাই রেডি। এবার শুধু অপেক্ষা, একটা অনুমতির। কিন্তু সমস্যা হল, পরিচালক ফ্লোরে নেই।
পরিচালক ছাড়া কীভাবে হবে শুটিং? (Tollywood)
পরিচালক ছাড়া শুটিং কীভাবে হবে? স্বাভাবিক ভাবেই এখানে একটা বড় দ্বিধাবোধ কাজ করছে (Tollywood)। “কোন গোপনে মন ভেসেছে” ধারাবাহিকের অভিনেত্রী অনুরাধার বক্তব্য, অবশ্যই আমরা পরিচালককে মিস করছি। কেউই চায় না। এইরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হোক। যেখানে অদ্ভুত একটা ডামাডোল সৃষ্টি হয়েছে। সবাই মিলে কাজটা করতে পারি, সে রকম পরিস্থিতি ফিরে আসুক। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এটা একেবারেই কাম্য নয়। একটা সুষ্ঠু সমাধান চাইছি”।
আরও পড়ুন: Tathagata Mukherjee: সংবেদনশীল পরিচালকরা, টলিপাড়ায় না ফিরলেও চালু আউটডোর শুটিং
মিশমির বক্তব্য
অভিনেত্রী মিশমি দাসের কথায়, “আমি একজন আর্টিস্ট। আমার দায়িত্ব একটা কল টাইম নিলে সেই কল টাইমটা অ্যাকসেপ্ট করে। সঠিক টাইমে আসা। আমি সেই জন্যই শুটিংয়ে এসেছি। সবে মাত্র মেকআপ হয়েছে। এবার রেডি হব। তারপর যদি ফ্লোরে ডাকা হয়, অবশ্যই যাব। আমি সত্যিই জানি না কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। চাই খুব সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক। যাতে কাজের কোনও সমস্যা না হয়। আমার শো এবং প্রোডাকশন হাউসের প্রতি একটা দায়িত্ব আছে। যদি আমাকে সিন করতে বলা হয়, আমি অবশ্যই করব”।

পরিচালকই সব
ওদিকে একইভাবে কলটাইম পেয়েছেন অভিনেত্রী অদিতি। এ বিষয়ে অদিতির বক্তব্য, “পুরো বিষয়টা দেখে অদ্ভুত লাগছে। এত বছর ধরে কল টাইম মেইনটেইন করে এসেছি। আর্টিস্ট ফোরামের তরফ থেকে কোনও মেসেজ পাইনি। পরিচালক অ্যাকশন না বললে শুটিং শুরু হয় না, কাট বললে তারপরেই আমরা ফ্লোর থেকে বের হই। পরিচালকই সব”।
আরও পড়ুন: Neem Phooler Madhu: বিয়ের পর চাপে রুবেল! ‘নিম ফুলের মধু’র সেটে কী চলছে?

দম বন্ধ করা পরিস্থিতি
অভিনেত্রী শ্বেতার বক্তব্য, “পরিচালকের মুখ থেকে প্যাক আপ কথাটা না শুনলে আমরা ফ্লোর থেকে বেরই না। পরিচালক অ্যাকশন না বললে আমাদের কাজ শুরু হয় না। যদি ‘ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ’ ফ্লোরে না থাকে, তাহলে শিপটা কীভাবে চলবে? এখানে বড় সন্দেহ রয়েছে। কোনও কিছু বন্ধ করে দেওয়াটা সমাধান নয়। আলোচনার মাধ্যমে বসে সমস্যাটা মিটিয়ে নেওয়ায় দরকার। এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা আরও বেশি দম বন্ধ করা একটা পরিস্থিতি”।