ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্তমান স্টক মার্কেটে বেশ কিছু কোম্পানি (Penny Stock) রয়েছে যারা বিনিয়োগকারীদের বিপুল লাভ দিয়ে নজর কেড়েছে। এর মধ্যে একটি নাম হল ইন্দো থাই সিকিউরিটিজ লিমিটেড। এই সংস্থার শেয়ার গত পাঁচ বছরে যে রিটার্ন দিয়েছে, তা সত্যিই অভূতপূর্ব। একদিকে যেখানে বাজারের পরিস্থিতি শোচনীয়, সেখানে এই সংস্থার শেয়ারের দামে ১৪,৮২৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে, যা অনেক বিনিয়োগকারীকে কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছে।
ইন্দো থাই সিকিউরিটিজের বিস্ময়কর উত্থান (Penny Stock)
পাঁচ বছর আগে, ২০১৮ সালে, ইন্দো থাই সিকিউরিটিজের শেয়ার ছিল মাত্র (Penny Stock) ১৩.৫০ টাকা। আজ, ২০২৫ সালে, এই শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে প্রায় ২,০০০ টাকা। অর্থাৎ, এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে আজ তা হয়ে যাবে প্রায় ১.৪৯ কোটি টাকা। এই পাঁচ বছরে এমন বিশাল লাভ অনেক বিনিয়োগকারীকেই চিন্তা করতে বাধ্য করেছে, আর যারা একে পেনিস্টক বা মাল্টিব্যাগার স্টক হিসেবে দেখেছিলেন, তারা অল্প সময়েই এক বিশাল মুনাফা পেয়েছেন।
গত কয়েক বছরে রিটার্নের বিশ্লেষণ (Penny Stock)
ইন্দো থাই সিকিউরিটিজ গত কিছু বছরে অসাধারণ রিটার্ন (Penny Stock) দিয়েছে। ২০২১ সালে এই শেয়ারের রিটার্ন ছিল ১২০৫ শতাংশ, আর ২০২২ সালে ছিল ৪৬৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের শুরু থেকেই শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসেই এই স্টকে ৫৩ শতাংশ লাভ হয়েছে। যদিও শেয়ার বাজারের অবস্থাটা এই সময়ে বেশ শোচনীয়, তবুও ইন্দো থাই সিকিউরিটিজ শেয়ারের ক্ষেত্রে গত সাত মাসে পজিটিভ রিটার্ন দেখা গেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই শেয়ারে ৮০.৪৬ শতাংশ রিটার্ন এসেছে, এবং আগস্ট মাসে লাভ হয়েছিল ৫৫.৪৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Stock Market: মুনাফা হতে পারে এই ৫ শেয়ার কিনলে, আপনিও কি কিনবেন?
বিনিয়োগকারীদের লাভ
যদি ৫ বছর আগে ১৩.৫০ টাকায় ইন্দো থাই সিকিউরিটিজের শেয়ার কেনা হত, তাহলে সেই ১ লক্ষ টাকা আজ গিয়ে দাঁড়াত ১.৪৯ কোটি টাকায়। এই বিশাল রিটার্ন সবার সামনে তুলে ধরেছে যে, সঠিক সময়ে সঠিক স্টকে বিনিয়োগ করলে কী ধরনের লাভ পাওয়া সম্ভব।

ইন্দো থাই সিকিউরিটিজ
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্দো থাই সিকিউরিটিজ ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE) এবং বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE)-এ একটি টপ সার্ভিস ব্রোকারেজ হাউস হিসেবে পরিচিত। সংস্থাটি রিয়েল এস্টেট, গ্রিন টেকনোলজি, স্টক ব্রোকারেজ এবং অন্যান্য পরিষেবার মাধ্যমে ব্যবসা করে থাকে। তাদের বাজার মূলধন বর্তমানে প্রায় ২,২০০ কোটি টাকা। এভাবে বিভিন্ন খাতে সফলতার সঙ্গে বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনা করার কারণে এটি একটি নির্ভরযোগ্য কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।