ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র ৩২ সেকেন্ড পর ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) লন্ডনগামী ফ্লাইট AI-171। প্রাণ হারান ২৬০ জন যাত্রী ও কর্মী (Plane Crash In Ahmedabad)। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) তাদের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে। সূত্রের দাবি, চলতি সপ্তাহের শেষেই তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হতে পারে।
গত ১২ জুন অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। উড্ডয়নের সঙ্গে সঙ্গেই সমস্যার সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ করে একাধিক সম্ভাব্য ত্রুটি চিহ্নিত করেছে AAIB।
কী উঠে এসেছে তদন্তে? (Plane Crash In Ahmedabad)
ব্ল্যাক বক্সে রেকর্ড হওয়া পাইলটদের কথোপকথন, ইঞ্জিন পারফরম্যান্স ও বিমানের উড্ডয়নের গতি—সব কিছু খতিয়ে দেখেই তৈরি হয়েছে এই রিপোর্ট(Plane Crash In Ahmedabad)। প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার সময়মতো সম্পূর্ণ টেনে নেওয়া যায়নি এবং ডানার বাম পাশে ভারসাম্য সমস্যা ছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র এই ত্রুটি বিমানের পতনের জন্য যথেষ্ট নয়।
একাধিক ফ্লাইট সিমুলেশন করে দেখা গিয়েছে, সম্ভাব্য আরও বড় বিপর্যয়ের উৎস ছিল বিমানের উভয় ইঞ্জিনের হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা বিকল হয়ে পড়া। এটি একটি অত্যন্ত বিরল কিন্তু মারাত্মক পরিস্থিতি। তবে এখনও পর্যন্ত AAIB আনুষ্ঠানিকভাবে ইঞ্জিন বিভ্রাটকে নিশ্চিত করেনি।
একমাত্র বেঁচে যাওয়া যাত্রী ও ডিএনএ শনাক্তকরণ (Plane Crash In Ahmedabad)
এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যান একমাত্র যাত্রী, যিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন(Plane Crash In Ahmedabad)। দুর্ঘটনার তীব্রতায় মৃতদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডিএনএ পরীক্ষা করে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। এই ঘটনায় প্রাক্তন গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যতের নির্দেশনা (Plane Crash In Ahmedabad)
তদন্ত রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর বিমান নিরাপত্তা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি হতে পারে(Plane Crash In Ahmedabad)। ইতিমধ্যে বিমান সংস্থাগুলিকে ফ্লিট পর্যালোচনা এবং নিয়মিত ইঞ্জিন পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: Operation Sindoor : ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাক সেনাকে সহায়তা করার অভিযোগ উড়িয়ে দিল চিন!
বিমান দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে এখন অপেক্ষা চূড়ান্ত বিশ্লেষণের (Plane Crash In Ahmedabad)। তবে এ-ও স্পষ্ট, আধুনিক প্রযুক্তি সত্ত্বেও ইঞ্জিন-ভিত্তিক বিপর্যয় ঠেকাতে আরও কঠোর পরিকাঠামো গড়ে তোলার সময় এসে গিয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে আসা তথ্যে যদি ইঞ্জিন ত্রুটি প্রমাণিত হয়, তবে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণ ব্যবস্থায় বড়সড় নীতিগত পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।