ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বুধবার দক্ষিণ সুদানের(Plane Crash In South Sudan) ইউনিটি স্টেটে ভেঙে পড়ল একটি বিমান। আমেরিকার পর এবার আফ্রিকা । যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ দক্ষিণ সুদানে ঘটল ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। ইউনিটি প্রদেশের একটি তৈলক্ষেত্রের রানওয়ে থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রীবোঝাই একটি বিমান ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা একজন বাদে সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তেল ক্ষেত্রের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত (Plane Crash In South Sudan)
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই উত্তরাঞ্চলীয় ইউনিটি স্টেটের তেল ক্ষেত্রের কাছে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানা যাচ্ছে(Plane Crash In South Sudan)। ২১ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্য নিয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি ৷ ২০ জন মারা যান। ভেঙে পড়ার মাত্র ৫ মিনিট আগে বিমানটি রওনা দেয় ৷ ‘মিশন ইন দক্ষিণ সুদান’ (ইউএনএমআইএসএস) জানিয়েছে, বুধবার রাজধানি জুবার উদ্দেশ্যে ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই উত্তরাঞ্চলীয় ইউনিটি স্টেটের তেল ক্ষেত্রের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা একজন বাদে সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল ছিল বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে।

যাত্রীরা তেল কোম্পানির কর্মী (Plane Crash In South Sudan)
বিমানের পাইলট ও কো-পাইলটও দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ সুদান সরকার(Plane Crash In South Sudan)। বাকি যাত্রীরা তেল কোম্পানির কর্মী। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই দক্ষিণ সুদানের বাসিন্দা ৷ তাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয় ও 2 জন চিনা নাগরিক ৷ তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় এখনও সরকারি তরফে নিশ্চিত করা হয়নি ৷ তবে বিমানটি ভেঙে পড়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।
দক্ষিণ সুদানে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা
দক্ষিণ সুদান ২০১১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে এবং দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দক্ষিণ সুদানে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটেছে(Plane Crash In South Sudan)। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানী জুবা থেকে ইরোল শহরে যাত্রীবহনকারী একটি ছোট উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হলে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়। ২০১৫ সালে রাজধানী জুবার বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পর যাত্রীদের নিয়ে রাশিয়া নির্মিত একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হলে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়।

বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার খামতি
সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাটি ফের দক্ষিণ সুদানের বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার খামতিকে সুস্পষ্ট করে তুলল। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, পুরানো বিমান, দুর্বল অবকাঠামো এবং অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দক্ষিণ সুদানে বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ সুদান সরকার দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটি বা রানওয়ের দূরবস্থার কারণে এই দুর্ঘটনা হতে পারে।
কী বললেন মন্ত্রী?
দক্ষিণ সুদানের তেল দপ্তরের মন্ত্রী পুওট কাং চোল কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ২০ জনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করার পর সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমার রাজনৈতিক সভা ও মিটিং ছিল আলোচনা ছিল তাই আমি নাইরোবিতে ছিলাম।”