ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তির ঘটনায় এবার এসএফআই নেতা (Srijan Bhattacharya) সৃজন ভট্টাচার্যকে তলব করল যাদবপুর থানার পুলিশ। শনিবার সন্ধে ৬টায় থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সৃজনকে। তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তিনি যাদবপুর থানায় যাবেন বলে সূত্রের খবর। বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি সংক্রান্ত ছবি এবং ভিডিয়ো ফুটেজ সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে তাঁকে।
শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কাতেই জখম ছাত্র? (Srijan Bhattacharya)
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বৈঠকে অংশ নিতে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানেই বাম ছাত্র সংগঠনের (Srijan Bhattacharya) বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তিনি বৈঠক-অনুষ্ঠান সেরে বের হতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্র নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে দ্রুতই সেই বিক্ষোভ অশান্তিপূর্ণ হয়ে ওঠে। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। ব্রাত্য বসুর গাড়ি, পাইলট কার লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। আহত হন ব্রাত্যও। এদিকে ছাত্রছাত্রীদের দাবি, হট্টগোলের মাঝে গাড়ি এগিয়ে এলে তাতে ২ জন ছাত্র জখম হন। এসএফআই পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করে, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কাতেই জখম হন ২ ছাত্র।
বক্তব্যের সমর্থনে কিছু ভিডিয়ো দেখান (Srijan Bhattacharya)
ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায় কী ভাবে আহত হলেন, তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িই নীচে পড়েই আহত হয়েছিলেন ওই ছাত্র, দাবি করেছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। পাল্টা সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যও। গত মঙ্গলবার তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, গাড়ির তলায় আড়াআড়ি ভাবে পড়ে থাকা ছাত্রের যে আংশিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ এবং আসল ভিডিয়ো কোথায়? গত বুধবার দেবাংশুকে জবাব দিতে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন সৃজন (Srijan Bhattacharya)। সেখানে তিনি দাবি করেন, গাড়ির নীচে চলে আসার কারণেই আহত হন ইন্দ্রানুজ। এসএফআইয়ের রাজ্য দপ্তরে তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে কিছু ভিডিয়োও দেখান তিনি।
আরও পড়ুন: Jadavpur VC: উচ্চ রক্তচাপ, হাসপাতালে ভর্তি যাদবপুরের উপাচার্য, দেখতে গেলেন ব্রাত্য বসু
‘রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে’
সৃজন বলেন, ‘ওই দিনের ঘটনার সময়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছিলাম না। সমাজমাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো আমার কাছে রয়েছে। সেগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেব। যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পুলিশের এত গড়িমসি কেন? তাঁদের কেন ডাকা হচ্ছে না? আমাকে তলব করে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।’
‘তদন্তের স্বার্থে আসতে বলা হয়েছে’
শনিবার সন্ধ্যাতেই যাদবপুর থানায় আসছেন সৃজন। এ প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমাকে গত পরশু যাদবপুর থানা থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে আমার কাছে যা ছবি ও ভিডিয়ো ফুটেজ আছে সেসব নিয়ে তদন্তের স্বার্থে আসতে বলা হয়েছে। আমি আজ সন্ধে ৬টায় যাদবপুর থানায় যাব।”