ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি (Primary Recruitment Case) বাতিল মামলার শুনানির দিন ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল ৭ এপ্রিল। যদিও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে গিয়েছিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। মামলাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে চলে যায়। মামলাটির শুনানি হবে আগামী সোমবার, ২৮ এপ্রিল। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ এই মামলা শুনবে। মামলার শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হল। স্থির হল নতুন বেঞ্চ।
নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল (Primary Recruitment Case)
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে। সেই নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩ সালের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন (Primary Recruitment Case)। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিল রাজ্য। সেই শুনানি হবে ২৮ এপ্রিল। কিছু দিন আগে এসএসসি-র ২৬ হাজার চাকরি (২৫,৭৩৫) বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসি মামলার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল (Primary Recruitment Case)
প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম এই মামলা শোনেন এবং ৮১৬১টি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। ডিভিশন বেঞ্চেও সেই নির্দেশ বহাল ছিল। পরে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যায় (Primary Recruitment Case)। সেখান থেকে এসএসসি মামলা আবার ফেরানো হয় হাই কোর্টে। ২০২৩ সালের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিল রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ দেয়। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে এবার চোখ প্রাথমিক চাকরির উপর।
আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharjee: প্রথমবার ব্রিগেড মঞ্চে নেই বুদ্ধবাবু, লাল মঞ্চে নীরব এক শূন্যতা
দ্রুত শুনানি হবে
আইনজীবীরা বলেছিলেন, ‘‘প্রধান বিচারপতি যেন এমন বেঞ্চে মামলা পাঠান, যেখানে দ্রুত শুনানি হবে।” এর পর থেকেই সকলের চোখ ছিল কবে কোন বেঞ্চে এই মামলা যায়। মূল মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। বিচারপতি সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে’র ডিভিশন বেঞ্চে গত সোমবার প্রাথমিকের চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারপতি সেন সরে দাঁড়ানোয় জটিলতা তৈরি হয়। পিছিয়ে যায় শুনানি। অবশেষে সোমবার জানানো হল তারিখ। শুনানি হবে ২৮ এপ্রিল।