ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অনেকেই রাতে ঠিক মতো ঘুমোতে পারেন (Proper Sleep Tips) না। সময় মতো ঘুম না এলে পরদিন সকালে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ে। কাজের চাপ, মানসিক উদ্বেগ, পারিবারিক টানাপোড়েন সব মিলে রাতে বিছানায় গেলেও মস্তিষ্ক সচল থাকে। ঘুম তখন আসে না, আসে শুধু ক্লান্তি আর অস্থিরতা। অনেক সময় বয়স্কদের ক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধও কাঙ্ক্ষিত ফল দেয় না। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন একটি সহজ উপায়ের কথা বলা হয়েছে, যা খুব অল্প চেষ্টা করলেই উপকার দিতে পারে।
রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা (Proper Sleep Tips)
২০২৩ সালে ‘জার্নাল অফ ফিজ়িয়োলজিক্যাল অ্যানথ্রোপোলজি’-তে প্রকাশিত (Proper Sleep Tips) গবেষণা অনুযায়ী, ঘুমের মান বাড়ানোর জন্য একটি কার্যকর কৌশল হলো চাদরের নিচ থেকে এক পা বাইরে বের করে ঘুমানো। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এর পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা। আমাদের শরীর যখন গভীর ঘুমের জন্য প্রস্তুতি নেয়, তখন ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমে যেতে থাকে। এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এই সময়ে শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক (Proper Sleep Tips)
আমাদের পায়ে এমন বিশেষ ধরনের রক্তনালী থাকে যা শরীরের তাপমাত্রা (Proper Sleep Tips) নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। বিশেষ করে পায়ের পাতায় লোম না থাকায় তাপ বিনিময় বেশি কার্যকরভাবে হয়। যখন একটি পা চাদরের বাইরে রাখা হয়, তখন তা শরীর থেকে তাপ নির্গমনে সাহায্য করে। এর ফলে শরীর শীতল হয় এবং মস্তিষ্ক ঘুমের সংকেত পায়। গবেষণায় বলা হয়েছে, এক বা দুটি পা বাইরে রেখে ঘুমালে ঘুম দ্রুত আসে এবং গভীর ঘুমের সময়কালও দীর্ঘ হতে পারে।
উপযুক্ত পরিবেশও জরুরি
বর্ষাকাল বা হালকা ঠান্ডার সময় অনেকেই পাতলা কম্বল বা চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমান। এমন পরিস্থিতিতেও পা বাইরে রাখলে আরাম বোধ হতে পারে। কারণ বাইরে থেকে মনোরম ঠান্ডা বাতাস শরীরকে প্রশান্ত করে। তবে শুধু পা বাইরে রাখলেই হবে না, ঘুমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশও জরুরি।
সুস্থ ও শান্ত ঘুমের জন্য কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া যায়:
- শুতে যাওয়ার আগে হালকা গরম জলে স্নান করুন বা উষ্ণ পানীয় পান করুন।
- বিছানায় যাওয়ার পর ঘরের আলো নিভিয়ে দিন।
- ফোন বা টিভির স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন।
- ঘরটি হালকা ঠান্ডা রাখা শ্রেয়।
- তারপর চাদরের নিচ থেকে একটি পা বাইরে রেখে শুয়ে পড়ুন।
আরও পড়ুন: Ambubachi 2025: ধরিত্রীমাতা হন ঋতুমতী, আধ্যাত্মিকতা ও রহস্যে ঘেরা অম্বুবাচীর কাহিনি!
এই ছোট্ট পরিবর্তন আপনার রাতের ঘুমে আনতে পারে বড়সড় পরিপূর্ণতা। নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করলে দুশ্চিন্তামুক্ত ঘুমও সম্ভব।