ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের শপথের পরেই ওয়াশিংটনে বসতে চলেছে কোয়াড-এর বৈঠক (QUAD Meeting)। জানা গেছে,ট্রাম্পের শপথের অনুষ্ঠান শেষ হলে ২১ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে এই বৈঠক বসবে।
কোয়াড বৈঠক (QUAD Meeting)
২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথের পরেই কোয়াড-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির (QUAD Meeting) মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে এই বৈঠক করা হচ্ছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। ট্রাম্প যে ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় প্রভাব বাড়াতে বেশ আগ্রহী তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। এবার ট্রাম্পের শপথের পরেই কোয়াড-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলি এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। তাহলে কি হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় বসেই চিনের উপর চাপ সৃষ্টি করার নতুন কৌশল ট্রাম্পের? এই বৈঠকের পর পরিষ্কার হবে ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও আগ্রাসন রুখতে আমেরিকার পদক্ষেপ কি হতে পারে!
জাপানের প্রয়াসে বৈঠক, সম্মতি ভারতের (QUAD Meeting)
কোয়াড-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ওয়াশিংটনে যে বৈঠক (QUAD Meeting) আয়োজিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে সেই বৈঠকের আয়োজনে সক্রিয় ভুমিকা নিয়েছে জাপান। এই বৈঠকে সম্মতি রয়েছে ভারতেরও। ভারতের স্থলসেনা দিবসের কয়েকদিন আগে ভারত-চিন সীমান্তের কাছে যুদ্ধ অভ্যাস চালিয়েছে চিনা ফৌজ। এজন্য ভারত-চিনের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা মসৃণ হলেও চিনকে একেবারেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না ভারত। এই কারণে কোয়াড-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বৈঠক ভারতের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের শপথে জয়শঙ্কর
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের অনুষ্ঠানে ভারতের তরফে যোগ দিচ্ছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। জানা গেছে, এই শপথ অনুষ্ঠানের পরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী যোগ দেবেন এই কোয়াড বৈঠকে। এই বৈঠক হবে কোয়াড-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে। সেই বৈঠকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ছাড়াও থাকবেন অস্টেলিয়ার বিদেশ মন্ত্রী পেনি ওয়াং এবং জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি আইওয়া। এমনকি এই বৈঠকে আমেরিকার তরফে থাকবেন আমেরিকার নতুন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো।
চিনকে বার্তা
এই বৈঠক চিনের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। এমনকি চিনকে বার্তা দিতেই এই বৈঠক করা হচ্ছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ। সেই কারণে ক্ষমতায় বসার পর একেবারেই দেরি না করে শপথের পরের দিনই এই বৈঠক করা হচ্ছে। চিনের তরফেও কোয়াড-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের এই বৈঠকের দিনে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এবার ট্রাম্পের দ্বিতীয় কার্যকালে ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় আমেরিকার কূটনীতি কি হবে তাঁর উপর নির্ভর করতে পারে অনেক সমীকরণ। এক্ষেত্রে শুধু চিন নয়, বাংলাদেশের বর্তমানের উতপ্ত পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তাও স্পষ্ট হবে ধীরে ধীরে।