Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে রামনবমী উদযাপনে (Ram Navami 2025) সম্প্রতির এক অনন্য দৃশ্য দেখা গেল। এই শহরে গত শনিবার রাম ভক্তরা কলসি নিয়ে শোভাযাত্রা করতে করতে রাম নাম উচ্চারণ করছিলেন, ঠিক তখনই স্থানীয় মুসলিম যুবকরা শরবতের গ্লাস হাতে মিছিলে যোগ দেন এবং রাম ভক্তদের তৃষ্ণা মেটান।
‘জয় রাম’’ ধ্বনি তুলেন এবং একসঙ্গে নাচেন (Ram Navami 2025)
তাদের সঙ্গে রাম ভক্তরা মিলিত হয়ে ‘‘জয় রাম’’ ধ্বনি তুলেন এবং একসঙ্গে (Ram Navami 2025) নাচেন। দুর্গাপুরের সিএমইআরআই কলোনির পাশের সোনারতরী আবাসিক কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বজরংবলীর পুজোতে এমন একটি মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত উঠে আসে।
ভালোবাসা এবং সহযোগিতার উদাহরণ (Ram Navami 2025)
এদিন মহিলারা জলাশয় থেকে জল নিয়ে আসছিলেন এবং শোভাযাত্রার (Ram Navami 2025) মধ্যে দিয়ে রাম ভক্তরা রামনাম করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই মুসলিম যুবকরা শরবতের গ্লাস হাতে তাঁদের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য এগিয়ে আসেন। একে অপরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসা এই দৃশ্য দেখেই বোঝা গেল, ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে বিরাজমান এক ঐতিহ্যবাহী সম্প্রীতির বন্ধন। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা এবং সহযোগিতার এক উদাহরণ তৈরি করেছিলেন।
ধর্মের মধ্যে ভেদাভেদ নেই
দুর্গাপুরের বজরংবলীর আয়োজক কমিটির সদস্য দীপক মান মুসলিম যুবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘এটি একটি চমৎকার উদাহরণ, যেখানে ধর্মের মধ্যে ভেদাভেদ নেই, বরং সবাই একত্রিত হয়ে উৎসব পালন করছে।’’ মুসলিম যুবক শেখ আসিফের মতে, ‘‘রাম সবার, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সকলের একত্রে মিলেমিশে থাকতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরি করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল।’’
আরও পড়ুন: Ram Navami 2025: রাজ্যের রাস্তা জুড়ে রামনবমী, কোন পথে গেলে সুবিধা?
সম্প্রীতির মেলবন্ধন
এছাড়া, মালদহেও রামনবী উদযাপনকে কেন্দ্র করে মুসলিম সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষ্যণীয়। মালদহ মুসলিম কমিটি তাদের তরফ থেকে রামনবী উদযাপনে অংশগ্রহণের জন্য একটি বার্তা দিয়েছিল, যেখানে তাঁরা রামনবী উদযাপনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। মালদহ শহরের কয়েকটি জায়গায় মুসলিম কমিটির পক্ষ থেকে প্যান্ডেল তৈরি করা হবে, যেখানে শরবত এবং মিষ্টি বিতরণ করা হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হবে, যা সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধের চিত্র।
ঐক্যের এক সুন্দর প্রতীক
এই ধরনের উদাহরণ থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, ধর্মীয় উৎসব শুধু পবিত্রতা বা আধ্যাত্মিকতার বিষয় নয়, বরং এটি সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও সমৃদ্ধ করে। বিশেষ করে, যখন একে অন্যের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করা হয়, তখন সেই উৎসবের প্রকৃত আনন্দই পাওয়া যায়। দুর্গাপুর এবং মালদহের এই সম্প্রতি উদযাপন একবারে ধর্মীয় ঐক্যের এক সুন্দর প্রতীক হয়ে উঠেছে।