ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: একটা মৃত্যু! একটা নৃশংস ধর্ষণ-খুন (RG Kar Case)! তারপর একবার কলকাতা পুলিশের তদন্ত, আর একবার সিবিআই-এর তদন্ত! এরপর দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া! সবশেষে হল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের মামলায় আদালতের রায় দান! এরই মাঝে কেটে গেছে প্রায় ৫ মাস। কিন্তু তারপরেও রয়ে গেছে অনেক সংশয়! আসল সত্য কি বের হল? সঠিক ন্যায় বিচার কি পেল অভয়া?
পাঁচ মাসে যা হয়েছে (RG Kar Case)
৫ মাস আগের ৯ আগস্টের বিভীষিকাময় রাত (RG Kar Case)! ধর্ষণ ও খুন হয়েছিলেন আর জি কর মেডিকেল কলেজের এক জুনিয়র ডাক্তার। একদিন পর ১০ আগস্ট কলকাতা পুলিশের হাতেই গ্রেফতার হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই। ১১ নভেম্বর থেকে শিয়ালদা আদালতে শুরু হয়েছিল বিচার প্রক্রিয়া! ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই। অবশেষে ২০ জানুয়ারি সঞ্জয় রাইকে আজীবন কারাবাসের সাজা দেন শিয়ালদা আদালতের বিচারপতি অনির্বাণ দাস।
সিবিআই আদালতে কী দাবি করে? (RG Kar Case)
আদালতে সিবিআই ও নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী আবেদন করেন, এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা হিসেবে বিবেচন করুক আদালত (RG Kar Case)। কিন্তু, শিয়ালদা আদালতের বিচারপতি অনির্বাণ দাস এই অপরাধকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে বিবেচনা করেননি। আদালত বলে, যে তথ্য প্রমাণ সিবিআই আদালতে এনেছে তা দিয়ে এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যাবে না! আর এখানেই অনেকে প্রশ্ন করছেন, তাহলে কি সিবিআই উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি? আর জি করের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম বিবেচনা না হওয়া কী সিবিআই-এর ব্যর্থতা?
আরও পড়ুন: Barrackpore Fire: শপিংমলে বিধ্বংসী আগুন, আতঙ্ক শিল্প শহরে
একই দিনে কেরলের একটি মামলা
আর জি কর মামলার রায় দানের দিনই কেরলে প্রেমিককে খুন করার ঘটনায় প্রেমিকাকে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত! এই মামলায় প্রেমিকার অপরাধকে বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ হিসেবে গণ্য করেন বিচারপতি! কিন্তু, একই দিনে আর জি করের মতো স্পর্শকাতর ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়নি। আর এতেই উঠছে অনেক প্রশ্ন? তাহলে কি সিবিআই- এর তদন্তে খামতি ছিল? সঠিক তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম প্রমাণ করতে ব্যর্থ হল সিবিআই?
বিরলের মধ্যে বিরলতম মামলা
আর জি কর কাণ্ডের পর এই রাজ্যেরই কমপক্ষে পাঁচটি মামলাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম মামলা হিসেবে রায় দিয়েছে আদালত. আপনাদের একে একে দেখাবো সেই মামলা গুলির রায়!
মামলা-১
২০২৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মাটিগাড়ায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের রায় দেয় আদালত। এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসেবে বিবেচনা করে অপরাধীকে ফাঁসির সাজা দেয় বিচারপতি।
আরও পড়ুন: Jadavpur Road Accident: মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে ফেরা হল না বাড়ি, শহরে ফের গতির বলি
মামলা-২
২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তিলজলায় ৭ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন-খুনের ঘটনায় অপরাধীকে ফাঁসির নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরল তম অপরাধ। এটা অমানবিক অত্যাচার।

মামলা-৩
২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বরে কুলতলিতে ৯ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনাকেও বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেন বিচারপতি। এই ঘটনায় দোষীকে ফাঁসির সাজা দেয় বারুইপুর পক্স আদালত।
মামলা-৪
২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বরে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় ৯ বছরের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ধৃতদের মধ্যে একজনের ফাঁসির সাজা দেয় আদালত। এই ঘটনাকেও বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে আদালত।
মামলা-৫
২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর গুড়াপে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা হয় অপরাধীর।