ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গত শুক্রবার তিন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়ে। জানা যায় স্যালাইন প্রয়োগের(Saline Controversy) পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। এই ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে সারা রাজ্যে। অনেকে বলছেন বাঁচার জন্য হাসপাতালে গিয়ে মুত্যুর মুখে পড়ছেন রোগীরা।
কারা এই প্রসূতি মহিলা? (Saline Controversy)
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউতে ভর্তি থাকা এই তিন প্রসূতি হলেন ২৩ বছরের মাম্পি সিংহ, ১৯ বছরের নাসরিন খাতুন, এবং ৩১ বছরের মিনারা বিবি। একই দিনে অস্ত্রোপচারের পর আরও কয়েকটি প্রসূতির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়ে(Saline Controversy)। দ্রুত তাদের চিকিৎসা সরবরাহের জন্য গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
গ্রিন করিডর করে আনা হয় কলকাতায় (Saline Controversy)
এরই মধ্যে তিন প্রসূতিকে দ্রুত কলকাতায় পাঠানো হয় গ্রিন করিডোর করে। শুক্রবার আরও পাঁচ প্রসূতি অস্ত্রোপচার করে সন্তান জন্ম দেন, তবে তাদের মধ্যে একজন মামনি রুইদাস (২২) শুক্রবার সকালে মারা যান। বাকিদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা সঙ্কটজনক(Saline Controversy)। রবিবার রাতে গ্রিন করিডর করে তাঁদের আনা হয় কলকাতায়। জানা যায় তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
অ্যাম্বুল্যান্স এসে পৌঁছনোর পর জানতে পারে পরিবার
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি তাঁদের। হাসপাতালের আইসিইউ বিল্ডিংয়ের সামনে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স এসে পৌঁছনোর পরে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওই তিন প্রসূতিকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মিনারার ভাই শেখ ইন্তাজ আলি বলেন, ‘‘দেখছি তিনটে অ্যাম্বুল্যান্স এসেছে। কিন্তু কাদের নিয়ে যাওয়া হবে, তা জানি না। যদি আমাদের রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়, তা হলে কেন আগে থেকে জানানো হল না? আমাদেরও তো কোনও প্রস্তুতি নেই।“
চিকিৎসকদের গাফিলতি থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে স্য়ালাইন(Saline Controversy) থেকেই ওই প্রসূতিরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে স্বাস্থ্য দফতর দাবি করছেন, ওই ঘটনার পিছনে চিকিৎসকদের ‘গাফিলতি’ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে সমানভাবে। গত ৮ জানুয়ারি রাতে হাসপাতালে পর-পর পাঁচ প্রসূতির অস্ত্রোপচার (সিজ়ার) করেছেন মেডিক্যালের স্নাতকোত্তরের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষানবিশ বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি) চিকিৎসকেরা।
অস্ত্রোপচারের দায়িত্ব শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হাতে ছেড়ে দেন চিকিৎসক
সৌমেন দাস নামে এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ (আরএমও) এবং পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে অ্যানেসথেটিস্ট সেই রাতে অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তাঁরা অস্ত্রোপচারের দায়িত্ব শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হাতে ছেড়ে দেন। সৌমেন দাস দাবি করছেন, “রিঙ্গার্স ল্যাকটেট দেওয়ার পরেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ফলে, শেষ দু’টি সিজ়ারের আগে রোগীর বাড়ির লোককে দিয়ে বাইরে থেকে পাঁচ বোতল রিঙ্গার্স ল্যাকটেট কিনিয়েছিলাম। যে দুই প্রসূতি বাইরে থেকে কেনা স্যালাইন পেয়েছিলেন, তাঁরা ভাল আছেন।”