ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: স্যালাইন-কাণ্ডে নিয়ে তোলপাড় সারা রাজ্যে(Saline Incident)৷ স্যালাইন দেওয়ার পর এক প্রসূতির মৃত্যু এবং বাকি প্রসুতিরা অসুস্থ হয়ে পড়েন, মেদিনীপুর থেকে তাঁদের এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়েছিল গ্রিন করিডোর করে ৷ কী কারণে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন সেই নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বারবার। তবে এবার গাফিলতি মেনে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ সরকারের(Saline Incident)৷
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশ (Saline Incident)
নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছিল ওই প্রসুতিদের ক্ষেত্রে(Saline Incident)। এই ঘটনা সামনে আসার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে। তিনি কড়াভাবে জানিয়েছেন, যাঁরা যাঁরা জড়িত তাঁদের কোনওমতে ছাড়া হবে না।
গাফিলতি মেনে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ (Saline Incident)
অবশেষে স্যালাইন-কাণ্ডে গাফিলতি মেনে নিল রাজ্য প্রশাসন(Saline Incident)। এই নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট ইতিমধ্যে জমা পড়েছে নবান্নে। সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
আরও পড়ুন:Saline Controversy: স্যালাইন দেওয়ার পরেই অসুস্থ তিন প্রসূতি, গ্রিন করিডর করে পাঠানো হয় এসএসকেএম-এ
তদন্তের জন্য ১৩ সদস্যের কমিটি
জানা যায়, অসুস্থ প্রসূতিদের কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্যালাাইন দেওয়ার পরেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাকি অন্য় কোনও কারণ সেটা দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সামনে আসতেই ঘটনার তদন্তের জন্য ১৩ সদস্যের একটি একটি কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে শুধু স্যালাইনের সমস্যা নয়, একটি বিশেষ ইঞ্জেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রটোকল মানা হয়নি। হিউম্যান এরেরর কথা বলা হয়েছে।
প্রসূতি মৃত্যুর কারণ খুঁজে দেখবে সিআইডি
স্বাস্থ্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রসূতি মৃত্যুর কারণ খুঁজে দেখবে সিআইডি। আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দেবে তারা। মুখ্যসচিব বলেন, “একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে হয়েছে। এক মা মারা গিয়েছেন। আরও চারজন অসুস্থ ৷ তাঁদের মধ্যে তিনজন এখন এসএসকেএমে চিকিৎসারত। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে একটা সিরিয়াস নেগলিজেন্স ওখানে হয়েছে। ট্রেনি ডাক্তাররা অপারেশনের কাজে যুক্ত ছিলেন, যেটা হওয়ার কথা নয়। সিনিয়র চিকিৎসকদের থাকা উচিত ছিল।”
কী বললেন মুখ্যসচিব?
মুখ্যসচিবের আরও বলেন, “আগেও এই স্যালাইন ব্যবহার না-করার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর গত 7 তারিখ পুনরায় একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কোম্পানিকে প্রোডাকশন বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে ওদের থেকে আর এই ব্যাচের স্যালাইন নেওয়া হয়নি। এর আগে বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট তিন দিনের মধ্যে দিতে বলা হলেও তবে সিআইডি তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এই ঘটনার পিছনে আদৌ কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, বাকি সবটাই তদন্ত করবে সিআইডি। তবে আমরা কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করব না। সিনিয়র চিকিৎসকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, স্যালাইন দেওয়ার আগে প্রসূতিদের থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল। এবিষয়ও তদন্তের আওতায় থাকছে।”