ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বীরভূমের মুরারইয়ে ওয়াকফ (সংশোধিত) আইন (Satabdi Roy) বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলে উত্তাপ ছড়ালো দলীয় সাংসদ শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধেই স্লোগান। বুধবার সকাল থেকেই জেলাজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে এই ঘটনা রয়েছে। যদিও, বীরভূমের চার বারের সাংসদ শতাব্দী রায় দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিরা দলের সদস্য নন।
অসন্তোষ ফেটে পড়ে স্লোগানে (Satabdi Roy)
ওয়াকফ আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সরব বিরোধী (Satabdi Roy) দলগুলো। আগামী ১৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে এই আইন চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলার শুনানি রয়েছে। এরই মধ্যে বিক্ষোভের ঢেউ লাগছে বিভিন্ন রাজ্যে। বীরভূমের মুরারইয়ে তৃণমূলের মিছিলে অংশ নেন স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। সেখানেই শতাব্দী রায়ের অনুপস্থিতি ও আইন পাস নিয়ে অসন্তোষ ফেটে পড়ে স্লোগানে— “স্যালাইন এমপি-কে মানছি না, মানব না!”
মোদীর প্রতীকী পুতুল দাহ (Satabdi Roy)
উল্লেখ্য, গত দু’বারের লোকসভা নির্বাচনে মুরারই থেকেই সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন শতাব্দী। কিন্তু ওয়াকফ বিল পাসের দিন সংসদে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা চলছিল। পরে তিনি জানান, অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। তবে, এই ব্যাখ্যা দলের একাংশ মেনে নিলেও মুরারইয়ের মিছিলে তা প্রশ্নের মুখে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতীকী পুতুল দাহ করা হয় সেই মিছিলে, কিন্তু স্লোগানের তীব্রতা বাড়ে স্থানীয় সাংসদকেই লক্ষ্য করে।
স্লোগান নিয়ে বক্তব্য
এই ঘটনায় শতাব্দী রায়ের বক্তব্য, “যারা স্লোগান দিয়েছেন, তারা দলের সদস্য বলে আমি বিশ্বাস করি না। দলপ্রেমীরা এমন কথা বলবেন না।” তিনি জানান, শারীরিকভাবে কিছুটা সুস্থ হয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মিছিলের নেতৃত্বে থাকা মুরারই-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিনয়কুমার ঘোষ এই ঘটনাকে “বিচ্ছিন্ন” বলে উড়িয়ে দেন। তাঁর মতে, “কোনো উৎসাহী তরুণ হয়তো আবেগে বলে ফেলেছে। এটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যায়নি।”
আরও পড়ুন: SSC Case: চাকরিহারাদের স্বেচ্ছায় উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখার সম্মতি দিল সংসদ!
রাজনৈতিক ইঙ্গিত
এই ঘটনায় দলীয় বিভেদের ইঙ্গিত মিলছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। শতাব্দী রায়ের অনুপস্থিতি ও আইন পাস নিয়ে দলীয় স্তরে অসন্তোষ থাকলেও প্রকাশ্যে এভাবে স্লোগান দেওয়াকে অনেকে “অভ্যন্তরীণ কোন্দল” বলছেন। তৃণমূলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব এখনো এই নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেননি, কিন্তু স্থানীয় স্তরে উত্তাপ বাড়ায় আগামী দিনে নতুন বিতর্কের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আশঙ্কা
বীরভূমে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হলেও সাংসদ বিরোধী স্লোগান দলের মধ্যে “একতা” নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ওয়াকফ আইন ইস্যুতে বিরোধী জোটের ঐক্য রক্ষা করতে গিয়ে দলীয় স্তরে এই বিভেদ কি বড়সড় রাজনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত দেয়? উত্তর হয়তো আগামী দিনের ইভেন্টেই লুকিয়ে।