ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় যুদ্ধ-উত্তেজনা তুঙ্গে। রাতভর চলেছে হামলা-পাল্টা হামলা। এই পরিস্থিতিতে বাংলার নিরাপত্তা নিয়েও সতর্ক বিধানসভা। আজ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিধানসভার অধ্যক্ষ জানান, কলকাতার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি (Security Tightened at State Assembly)। তিনি বলেন, এখানেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে—ভিক্টোরিয়া আছে, বিধানসভা রয়েছে। বিধানসভার নিরাপত্তা আমরা খতিয়ে দেখেছি। এখানে বিধানসভার কর্মীরা রয়েছেন। নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হয়েছে। তবে আমার মনে হয় না, এতদূর অবধি আসবে।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে রাজ্য বিধানসভার নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দেওয়া শুরু হয়েছে। শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিধানসভার সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং জরুরি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সতর্কতা ও প্রস্তুতির বার্তা (Security Tightened at State Assembly)
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার ও বিধানসভার যৌথ উদ্যোগে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। স্পিকার নিজেই জানিয়েছেন, কোনও ফাঁকফোকর থাকছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিধানসভা ভবনের প্রবেশ ও নির্গমন পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বাড়ানো হতে পারে নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: Nabanna: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহ, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ নবান্নের
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে ‘নবান্ন’ থেকেও সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্পষ্ট নির্দেশ, সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে যেকোনও জরুরি পরিস্থিতির জন্য।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারতের পাল্টা অভিযান (Security Tightened at State Assembly)
এই অভ্যন্তরীণ সতর্কতার পেছনে রয়েছে সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় একাধিক ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর পর ভারতীয় সেনা শুরু করেছে পালটা অভিযান (Security Tightened at State Assembly)। প্রথমে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত এবং তারপর ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সেনা সূত্রে জানা গেছে।
এই অভিযান এখনও চলছে এবং সেনা জানিয়েছে, আরও কিছু টার্গেট বাকি রয়েছে। সীমান্তে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ভারতে বড়সড় নিরাপত্তা সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
বাংলায় প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা কম, তবুও প্রস্তুতি চূড়ান্ত (Security Tightened at State Assembly)
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই পরিস্থিতির প্রভাব পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত পৌঁছাবে এমন সম্ভাবনা কম। তবে আমাদের দায়িত্ব, আগে থেকেই সতর্ক থাকা এবং সমস্ত প্রস্তুতি রাখা। বিশেষ করে বিধানসভার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি রাখা যায় না।”

বিধানসভার নিরাপত্তায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ, এবং প্রবেশপথে আরও কড়া চেকিং চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গেছে।
নজরে সরকারি ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি (Security Tightened at State Assembly)
শুধু বিধানসভাই নয়, রাজ্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবন, মেট্রো রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র, জলাধার, ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উপরেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথভাবে এই নজরদারির কাজ করছে।
এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার ও বিধানসভা কর্তৃপক্ষের বার্তা একটাই— “চূড়ান্ত প্রস্তুতি থাকুক, কিন্তু জনগণ আতঙ্কিত না হোন”।