ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বুন্দেলখণ্ডের পান্না জেলার পাওয়ে তহসিলের (Shree Hanuman Mandir) মোহন্দ্রা রোডের দুর্গম পাহাড়ে অবস্থিত শ্রী হনুমান ভাট মন্দির। এই মন্দিরটি ভক্তদের কাছে ‘শ্রী হনুমান ভাট ধাম’ নামে সুপরিচিত। দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে আসেন পবিত্র পূজার উদ্দেশ্যে। মানুষের বিশ্বাস, এই মন্দির থেকে কেউ কখনোই খালি হাতে ফিরেন না। কথিত, ৫টি বিশেষ মঙ্গলবার মন্দিরে নিয়ম করে পুজো-অর্চনা করলে মনোমুগ্ধকর মনোকামনা পূরণ হয়।
পাথরের মূর্তিগুলো এখনও অক্ষত (Shree Hanuman Mandir)
এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা অনেক (Shree Hanuman Mandir) প্রাচীন। চান্দেল যুগের সময় নির্মিত পাথরের মূর্তিগুলো এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে এখানে। মন্দিরের মূল আকর্ষণ হল শ্রী হনুমানজির পূর্ণাঙ্গ পাথরের মূর্তি। তবে শুধু হনুমানজিই নয়, এখানে মহাকাল ও নৃসিংহ দেবতার মূর্তিও রয়েছে। এর পাশাপাশি রাধা রাণী ও শ্রী রাম-জানকীজির মন্দিরও মন্দির চত্বরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
হনুমানজির কাছে প্রার্থনা (Shree Hanuman Mandir)
স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে প্রচলিত একটি বিশ্বাস আছে যে, সরল এবং সৎ (Shree Hanuman Mandir) মন নিয়ে যদি হনুমানজির কাছে প্রার্থনা করা হয়, তাহলে তার ইচ্ছা অবশ্যই পূরণ হয়। বিশেষ করে পাঁচটি মঙ্গলবার অবিরাম মন্দিরে এসে ভক্তরা চরণ স্পর্শ করলে তাঁদের সমস্ত সংকট মিটে যায় এবং জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার মন্দিরের প্রাঙ্গণ হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে, যা মন্দিরের পবিত্র পরিবেশকে আরো আলোকিত করে।
দর্শকদের এক বিশেষ অনুভূতি দেয়
শুধু ধর্মীয় গুরুত্ব নয়, এই স্থানটি তার অসাধারণ স্থাপত্যশৈলী ও ভাস্কর্যের জন্যও বিখ্যাত। চান্দেল রাজাদের আমলে নির্মিত পাথরের ভাস্কর্যগুলি মনোমুগ্ধকর এবং শিল্পকলা ও ঐতিহ্যের এক অমূল্য নিদর্শন। হনুমান মূর্তির পাশেই রয়েছে মহাকাল ও নরসিংহের মূর্তি, যা দর্শকদের এক বিশেষ অনুভূতি দেয়। ধুলিয়া মঠ, সিদ্ধ মহারাজের সমাধি, মাতা কালেহির প্রাচীন মন্দির এবং শঙ্করের মন্দিরও এই পবিত্র কমপ্লেক্সের অংশ।
অধিকাংশ সময় ভক্তদের আনাগোনা
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকেও এই স্থানটি অতুলনীয়। পাহাড়ের বুকে অবস্থিত এই মন্দিরের চারপাশে প্রকৃতির অপরূপ রূপ বিরাজমান, যা প্রকৃতি প্রেমীদের মনকে মোহিত করে। বছরের অধিকাংশ সময় ভক্তদের আনাগোনা এখানে দেখা যায়। তবে জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত মেলা সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। এই সময় লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই পবিত্র স্থানে এসে হনুমানজির দর্শন লাভ করেন এবং মনোবাসনা পূরণের জন্য প্রার্থনা করেন।

আরও পড়ুন: Madan Mitra: সিএসটিসির প্রভিডেন্ট ফান্ড সংকট, মদন মিত্রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের কড়া রুল!
প্রকৃতি ও আধ্যাত্মিকতার মিলনস্থল
সুতরাং, পান্নার এই দুর্গম পাহাড়ে অবস্থিত শ্রী হনুমান ভাট ধাম মন্দির শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং এটি বিশ্বাস ও আশা, ভক্তি ও সংস্কৃতির এক অনন্য মিলনস্থল। এখানকার ঐতিহ্য, ভাস্কর্য এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশ ভক্তদের মনের গভীরে এক অনন্য শান্তি ও প্রেরণা জোগায়। যারা প্রকৃতি ও আধ্যাত্মিকতার মিলনস্থল খুঁজছেন, তাদের জন্য এই মন্দির একটি অবশ্য দর্শনীয় গন্তব্য।