ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জয়দীপ মুখোপাধ্যায় (Joydeep Mukherjee) পরিচালিত ‘দ্য একেন: বেনারসে বিভীষিকা’ (The Eken: Benaras e Bibhishika) সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে (Sidhu Interview)। ছবিটির শুরু ও শেষে একটি গান রয়েছে। গানটি বেনারসের প্রেক্ষাপটে। সাথে এই গানের মধ্যে অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপট রয়েছে। গানটি গেয়েছেন ক্যাকটাসের সিধু (Sidhu) ওরফে সিদ্ধার্থ রায়। অথচ প্রিমিয়ারে তাঁকে কেউ বলার প্রয়োজন মনে করল না? পরিচালকও নন! তাহলে তাঁরই গান ব্যবহার হল কেন? কি করেই বা ভুলে গেলেন পরিচালক-প্রযোজক?
সৌজন্যবোধ দেখানো উচিত ছিল (Sidhu Interview)
ট্রাইব টিভির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে সিধু (Sidhu Interview) বলেন,” আমার দুঃখ হয়েছে, অভিমান হয়েছে, বলতে পারি একটু রাগও হয়েছে।” আসলে গানটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সঙ্গীত শিল্পীর দাবি, তৃতীয় ভার্সনে গানটার অ্যারেঞ্জমেন্ট পাল্টানো হয়েছে। তাঁর ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নেওয়া হয়নি কেন? উঠছে প্রশ্ন। এসব কথা তিনি বলতে পারেন কিনা, তা তাঁর জানা নেই। কারণ সেগুলো আইনি তর্কাতর্কির ব্যাপার। সেই প্রসঙ্গে তিনি যাননি। সিধু মনে করেন, তাঁকে একটু সৌজন্যবোধ দেখানো উচিত ছিল। ছবিতে একটাই গান যেটা শুরু এবং শেষে ব্যবহার করা হয়েছে। অন্তত তাঁকে ফোন করে বলা উচিত ছিল, প্রিমিয়ারে একবার এসো। কিন্তু পরিচালক, প্রযোজক কারোর থেকেই কোনও ফোন পাননি তিনি। এতে তো দুঃখ লাগবেই।
ব্যবসায়িক বেনিফিট নেই (Sidhu Interview)
এর আগেও ‘কিলবিল সোসাইটি’ র প্রিমিয়ারে গায়ক সিধুকে (Sidhu Interview) ডাকা হয়েছিল। তবে এবারে কেন ডাকা হল না? ভুলে যাওয়াটা আর্টিস্ট হিসেবে কীভাবে দেখেন সিধু? প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আসলে সবাই ব্যবসার কথা চিন্তা করতে এত ব্যস্ত যে, সৌজন্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। সাথে এও বলেন, হয়ত তাঁর সাথে ব্যবসায়িক বেনিফিট নেই। সেই জন্যই হয়ত তাঁকে ডাকার প্রয়োজন মনে করেনি প্রযোজনা সংস্থা। তবে কি সংস্থার তরফ থেকে ক্যামেরার পিছনে মানুষকে মান্যতা দেওয়া হয় না? এ প্রসঙ্গে সিধু বলেন, আসলে তিনি ক্যামেরার পিছনের মানুষ নন। যারা ক্যামেরার পিছনে থাকেন তাদেরকে মান্যতা দেওয়া হয় কি তাঁর জানা নেই। তবে পরিচালক ও প্রযোজনা সংস্থার সাথে তাঁর সম্পর্ক ভালো।
আরও পড়ুন: Anindita Raychaudhury: সুখের সময়ে পিতৃহারা সুদীপ সরকার, কী হয়েছিল? জানালেন অনিন্দিতা
না জানিয়ে রিঅ্যারেজমেন্ট
সিধুর কথা অনুযায়ী, সিনেমার একটি গান রিঅ্যারেজমেন্ট করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে না জানিয়ে। সেটা স্বভাবত খারাপ লাগারই কথা। তিনি বলেন, জানানোর বাধ্যবাধকতা তাঁর নয়। মিউজিক ডিরেক্টরকে জানানো উচিত। এই গানটি মিউজিক ডিরেক্টর অম্লান চক্রবর্তী। তবে প্রিমিয়ারে গায়ক সিধু ও ডিরেক্টর অম্লান চক্রবর্তী কাউকে দেখা যায়নি।
বাংলা সিনেমা স্ট্রং জায়গায় নেই
সিনেমায় সিধুর গাওয়া গান বাজছে। দর্শকও খুব পছন্দ করছে। এমনকি তিনি এই গানের স্টোরি ইনস্টাগ্রামেও শেয়ার করেছিলেন। সেখানে সেই সিনেমার প্রিমিয়ারে তাঁকেই ডাকতে ভুলে গেলেন ডিরেক্টর, পরিচালক! সিধু ট্রাইব টিভিকে বলেন, পরিচালকের সাথে দেখা হলে তিনি বলবেন এ বিষয়ে। এমত পরিস্থিতিতে বাংলা সিনেমাকে সিধু কীভাবে দেখেন? তাঁর মতে, “খুব একটা স্ট্রং জায়গায় নেই, সেটা তো বোঝা যাচ্ছে, বছরে হয়ত দু তিনটে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন: Duggamoni O Bagh Mama: মাত্র আড়াই মাসের স্মৃতি! কেন বন্ধ হল ‘দুগ্গামণি ও বাঘমামা’?
অভিমানে দেখলেন না সিনেমা
সিনেমাতে তাঁর গান বাজছে। শুক্রবারে রিলিজ হয়েছে। তাঁরই গাওয়া গান প্রশংসাও পাচ্ছে প্রচুর। কিন্তু তিনি এখনও দেখেননি । হয়ত অভিমানী তিনি। শোনা গিয়েছে, পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায় (Joydeep Mukherjee) ক্ষমাপ্রার্থী। আসলে, সিধুর সাথে খুব একটা দেখা সাক্ষাৎ হয় না পরিচালকের। তাই নিজের অজান্তে প্রিমিয়ারের ডাকতে ভুলে গেছেন সিধুকে। এমনটাও হতে পারে বলে অনুমান অনেকের।