ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের (Smartphone Care) জীবন একেবারে অচল। স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর জন্য আমরা কিছু সহজ এবং ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারি। এই উপায়গুলি ফোনের ব্যাটারি, সিস্টেম এবং শারীরিক অবস্থার দৃষ্টিকোণ থেকে ফোনের আয়ু দীর্ঘায়িত করতে সাহায্য করে।
ব্যাটারি সঠিকভাবে চার্জ করা (Smartphone Care)
স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ লম্বা করতে সর্বপ্রথম (Smartphone Care) যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হল সঠিকভাবে চার্জ করা। খুব কম বা খুব বেশি চার্জ না রেখে, ব্যাটারি ২০%-৮০% এর মধ্যে রাখাই ভাল। একটানা ১০০% বা ০% হয়ে যাওয়া ব্যাটারি ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয়। এছাড়াও, ফোনের চার্জার মানসম্পন্ন ব্যবহার করুন, যাতে ব্যাটারি সঠিকভাবে চার্জ হয়।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ রাখা (Smartphone Care)
স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস (Smartphone Care) চালু থাকলে তা ফোনের প্রসেসর ও ব্যাটারি দুটোতেই চাপ সৃষ্টি করে। ফোনের মেমরি এবং প্রসেসর অধিক পরিমাণে ব্যবহার করার ফলে ফোন স্লো হয়ে যেতে পারে। তাই, মাঝে-মধ্যে আপনার ফোনের সেটিংসে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস বন্ধ রাখা উচিত। এছাড়া, অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিত আপডেট করুন যাতে ফোনের সফটওয়্যার লেটেস্টভাবে আপডেটেড থাকে।
আরও পড়ুন: Computer Internet: কম্পিউটারে ঠিকঠাক নেই ইন্টারনেট? সহজেই সমাধান!
ফোনের স্ক্রিন পরিষ্কার রাখা
ফোনের স্ক্রিনে রাস্তাঘাটের ধুলোবালি ও আঙুলের ছাপ থেকে যেতে পারে, যা ফোনের ডিসপ্লেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। স্ক্রিনে কোনও ধুলো বা ময়লা থাকলে তা ফোনের টাচ সেন্সিটিভিটিকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই একটি মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে ফোনের স্ক্রিন নিয়মিত পরিষ্কার করুন। তাছাড়া স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করলে স্ক্রিনও নিরাপদ থাকে।

অপ্রয়োজনীয় ফিচার বন্ধ রাখা
স্মার্টফোনের কিছু ফিচার যেমন ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই, জিপিএস ইত্যাদি যদি সবসময় চালু থাকে, তাহলে তা ব্যাটারির এনার্জি দ্রুত খরচ করে। শুধুমাত্র প্রয়োজন হলেই এই ফিচারগুলি চালু করা উচিত। ফিচারগুলি বন্ধ রাখলে ফোনের ব্যাটারি এবং প্রসেসরের ওপর চাপ কমে যায়, ফলে ফোনটি দীর্ঘস্থায়ীভাবে চলতে পারে।
ফোনের কভার ও কেস ব্যবহার
ফোনের বডি ও স্ক্রিনের স্ক্র্যাচকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে ভালো মানের ফোন কভার বা কেস ব্যবহার করা উচিত। ফোন পড়ে গেলে বা অন্য কোনও আঘাতে লাগলেও এটি অটুট থাকবে তবে। এছাড়া, ফোন যাতে খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা না হয়ে যায় সে জন্যও ফোন কেস ব্যবহার করা প্রয়োজন।