ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ছুটি কাটানোর আনন্দ পরিণত হলো ভয়ংকর অভিজ্ঞতায়। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা সিএবি(CAB) সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়(Snehashis Ganguly)ও তাঁর স্ত্রী অর্পিতা গঙ্গোপাধ্যায়। পুরীতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা ও বৌদি। আর সেখানে গিয়েই বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন স্নেহাশিস ও অর্পিতা। অল্পের জন্য মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন তাঁরা। বর্তমানে দু’জনেই সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন।
স্পিডবোট উল্টে দুর্ঘটনার কবলে সস্ত্রীক স্নেহাশিস(Snehashis Ganguly)
গত শনিবার পুরীতে গিয়ে স্পিডবোটে উঠেছিলেন স্নেহাশিস(Snehashis Ganguly) ও অর্পিতা। প্রতিকূল আবহাওয়া ছিল। স্পিডবোটে তাঁরা তখন মাঝ সমুদ্রে, হঠাৎই বিশাল একটা ঢেউ আসে। উল্টে যায় তাঁদের স্পিডবোট। ওই স্পিডবোটে প্রায় চার জন ছিলেন। তাঁরা সবাই বোট থেকে ছিটকে জলে পড়ে যান। কেবলমাত্র পা আটকে যায় অর্পিতার। তাঁরা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন প্রত্যেকে। সেই চিৎকার শুনে সমুদ্রের ধারে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা (লাইফ গার্ড), স্থানীয় বাসিন্দা ও নুলিয়ারা জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে তৎপরতার সঙ্গে প্রত্যেককে উত্তাল সমুদ্রের ভিতর থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে তীরে ফিরিয়ে আনেন।
স্পিডবোট পরিষেবাকেই দুষলেন স্নেহাশিস পত্নী(Snehashis Ganguly)
ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের(Snehashis Ganguly) স্ত্রী অর্পিতা স্পিডবোট পরিষেবাকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা পুরী বেড়াতে গেলে স্পিডবোটেই চড়ি। এবার সমুদ্র খুবই উত্তাল ছিল। সাধারণত ওই স্পিডবোটগুলোতে দশজন করে লোক বসতে পারে। কিন্তু টাকার লোভে তিন-চারজনের বেশি ওরা বসাচ্ছিল না। আর আমাদেরটাই শেষ বোট ছিল। বোটে ওঠার আগেই আমরা ওদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, এই পরিস্থিতিতে সমুদ্রে যাওয়া নিরাপদ হবে কিনা। ওরা আমাদের বলেছিল কোনও সমস্যা হবে না।
সমুদ্রে যাওয়ার পরই বিশাল ঢেউয়ের ধাক্কায় আমাদের বোটাটা উল্টে যায়। ১০তলা সমান উঁচু উঁচু ঢেউ আসছিল। সেই ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রথমে স্নেহাশিস বোট থেকে ছিটকে পড়ে যায় জলে। তারপর বোটের বাকিরাও জলে পড়ে যায়। নিমেষের মধ্যে আমাদের বোটটা উল্টে যায়। ভয়ে আমরা সকলেই আর্তনাদ শুরু করি। যদি লাইফগার্ডেরা না আসত, তা হলে আমরা বাঁচতাম না। এখনও আতঙ্ক কাটছে না। আমার জীবনে এই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়নি। ফেরিতে আরও বেশি লোক থাকলে এই দুর্ঘটনা হত না।’
আরও পড়ুন: Weather Report: বর্ষার আগাম আগমন, বাংলার অধিকাংশ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা!
ওয়াটার স্পোর্টস বন্ধ করার দাবি স্নেহাশিস জায়ার
এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর পুরীর এই ওয়াটার স্পোর্টস বন্ধ করার দাবিও তুলেছেন স্নেহাশিস জায়া অর্পিতা। এই নিয়ে প্রয়োজনে তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। অর্পিতা বলেছেন, ‘পুরীর সমুদ্র খুবই উত্তাল। সেখানে ওয়াটার স্পোর্টস অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। আমি এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ সুপারেরকে চিঠি লিখব। অবিলম্বে পুরীর সমুদ্রে এই ওয়াটার স্পোর্টস বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’