ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে (SSC Recruitment) দেখা করার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে কালীঘাটে জমায়েত হয়েছিলেন কিছু চাকরিহারা শিক্ষিকা। দীর্ঘ ১০ বছর সন্মানের সঙ্গে চাকরি করার পর পুনরায় যোগ্যতা পরীক্ষা দিতে বাধ্য হওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে তারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং বৈধ অনুমতিপত্র না থাকার কারণে ছয় জন শিক্ষিকাকে আটক করে কালীঘাট থানায় নিয়ে যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা সম্ভব হয়নি (SSC Recruitment)
আটক হওয়া শিক্ষিকাদের মধ্যে ছিলেন সঙ্গীতা সাহা (SSC Recruitment), রূপা কর্মকার, স্মার্তি রায়, নুর আমিনা গুলশন, শিল্পী চক্রবর্তী এবং সাহানি নাজনিন। তারা জানিয়েছে, তারা কোনো বিক্ষোভ বা আন্দোলনের উদ্দেশ্যে আসেননি, বরং তাদের মূল লক্ষ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা। দীর্ঘদিন চাকরির পর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে হবে কেন, তা স্পষ্ট করতে তারা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের বাধায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে তারা থানায় আটক রয়েছেন।
চাকরি হারানোর ঝুঁকি (SSC Recruitment)
এর আগে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারা শিক্ষকদের (SSC Recruitment) উদ্দেশ্যে এক বক্তব্যে বলেছেন, “পরীক্ষা না দেওয়ার কথাটি এখনই বলা উচিত নয়, কারণ তা হলে চাকরি হারানোর ঝুঁকি থাকবে। সরকার তাদের জন্য দুটি বিকল্প রেখেছে—প্রথমত, রিভিউ আবেদন করা, এবং দ্বিতীয়ত, পরীক্ষায় বসা। যদি রিভিউ আবেদন সফল না হয়, তবেই পরীক্ষার পথ গ্রহণ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “সরকার চেষ্টা করবে যাতে চাকরিজীবী শিক্ষকদের আর পরীক্ষায় বসতে না হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরীক্ষা দেওয়াই একমাত্র বিকল্প।”
অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চাকরিহারা শিক্ষিকারা (SSC Recruitment)
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চাকরিহারা শিক্ষিকারা। তারা মনে করছেন, নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে নবান্নে তার দেওয়া বক্তব্যের মধ্যে তফাৎ রয়েছে। এই অনিশ্চয়তা ও অস্পষ্টতার কারণে আবারও প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

উত্তরবঙ্গেও এই অসন্তোষের ছাপ
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গেও এই অসন্তোষের ছাপ পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরবঙ্গে সফর করছেন এবং সেখানে গিয়ে দেখা করার জন্যও আবেদন করেছেন চাকরিহারা শিক্ষিকাদের একাংশ। তাদের দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে চাকরির অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় এই অনিশ্চয়তার অবসান হোক এবং তাঁদের দাবিগুলো দ্রুত সমাধান করা হোক।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী নিম্নচাপ, রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি ও উত্তাল সমুদ্র!
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সুযোগ না পাওয়ায় এটাই তাদের প্রধান হতাশার কারণ। তারা আশাবাদী, তাদের ধৈর্যের ফলশ্রুতিতে ন্যায্য ও সম্মানজনক সমাধান আসবে। এখন পরিস্থিতি একটু উত্তপ্ত হলেও, শিক্ষিকারা সচেতন ও শান্তিপূর্ণ পথে নিজেদের দাবি আদায়ে অগ্রসর হচ্ছেন। সরকারের প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষা, দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান এনে দেওয়া হোক, যাতে তারা আবার সন্মানের সঙ্গে চাকরিতে ফিরতে পারেন।