ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজ বেলা দেড়টা নাগাদ বিকাশ ভবনে (SSC Teachers Protest) সাংবাদিক বৈঠক করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণভাবে চাকরিহারাদের পাশে রয়েছেন। বিদ্যালয় শিক্ষাদফতর সবসময় তাঁদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। আমরা রিভিউ পিটিশন করছি। তিনি জানান আইনি পরামর্শ না-পাওয়ার কারণেই তালিকা প্রকাশ হয়নি।
আমরা রিভিউ পিটিশন করছি (SSC Teachers Protest)
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা রিভিউ পিটিশন করছি। তাই এমন কোনও কিছু করা উচিত নয় যাতে আপনাদের রিভিউ পিটিশনকে দুর্বল করে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘিত হয় কিংবা আপনাদের বা আমাদের আদালত অবমাননা না হয়, তা আপনাদের বজায় রাখতে অনুরোধ করছি। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যোগ দিতে অনুরোধ করছি উপযুক্ত শিক্ষকদের। বেতনের বিষয়ে আমাদের দফতর কাজ করে যাচ্ছে (SSC Teachers Protest)। এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমরা নিচ্ছি। আগামিকালও ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসির মামলা রয়েছে। আপনাদের জন্যই এসএএসসি লড়ছে। একমাত্র সরকারই আপনাদের পাশে রয়েছে।”
‘কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়নি’ (SSC Teachers Protest)
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, অযোগ্য তালিকার বাইরে ১৭,২০৬ জন রয়েছেন। তিন বলেন, “আমাদের কাছে ভাগ রয়েছে। সেই অনুসারে আমরা কাজ করছি। এমন কোনও কাজ করবেন না, বা এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না, যাতে রিভিউ পিটিশনে আপনাদের বিপক্ষে চলে যায় (SSC Teachers Protest)।” ব্রাত্য জানান, আইনি পরামর্শ না-পাওয়ার কারণেই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়নি, কাজে যোগ দিতে কারও সমস্যা হয়নি, কারও বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
‘আইনি প্রক্রিয়া চালু তথা লাগু আছে’
ব্রাত্য বলেন, “আইনি প্রক্রিয়া এখনও চালু তথা লাগু আছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে আমরা দায়বদ্ধ। আমাদের এটিও মনে রাখতে হবে আমাদের সরকার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সাম্প্রতিক আবেদনে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপযুক্ত শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে।”
‘তালিকা তো সুপ্রিম কোর্ট দিয়ে দিয়েছে’
অযোগ্যদের কেন তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না, সেই নিয়ে প্রশ্নে ব্রাত্য বলেন, “তালিকা তো সুপ্রিম কোর্ট দিয়ে দিয়েছে। আমাদের তো চিহ্নিত করার কিছু নেই। সুপ্রিম কোর্টই জানিয়েছে। সেটি প্রকাশ্যেই (পাবলিক ডোমেন)-এই রয়েছে।” সোমবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, তৃতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ের পর বাকি দফার কাউন্সেলিংগুলি নিয়ে কোনও মন্তব্য করছে না কমিশন। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, এমন কিছুই তিনি জানেন না। ব্রাত্য বলেন, “এগুলির কথা আমরা বলিনি। এসএসসি চেয়ারম্যানও এটি বলেননি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেও এটি উল্লেখ নেই। যা লেখা নেই, তা কাল্পনিক ভাবে ধরে নিয়ে কেন ওঁরা কথা বলছেন, তা আমি জানি না।”