ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রেলের (Ashwini Vaishnaw) প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোমবার রাজ্যসভায় রেল বাজেট নিয়ে চর্চার সময় তিনি এই অভিযোগ করেন। তিনি বলতে ওঠার ঠিক আগেই রাজ্যসভার বিরোধী সাংসদরা দাবি করেন এবারের বাজেটে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে বঞ্চনা করা হয়েছে । এ নিয়েই জবাব দিতে গিয়ে তামিলনাড়ু থেকে শুরু করে কেরল ও পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী রাজ্যগুলিতে রেল কী কী কাজ করেছে তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী। এবং তাঁর সেই কথাকে ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক।
আলোচনায় ছিল রেলের কর্মপদ্ধতি (Ashwini Vaishnaw)
রাজ্যসভার আলোচনায় ছিল রেলের কর্মপদ্ধতি, লোকসভায় রেলের ব্যয়বরাদ্দ। আলোচনা চলে অনেক রাত পর্যন্ত। রাজ্যসভায় রেলের কর্মপদ্ধতি নিয়ে কথা হলেও রেলমন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw) নিজের জবাবে ‘রেল বাজেট’ বলে মন্তব্য করেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে আপত্তি জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। কিন্তু চেয়ারম্যান তাতে কর্ণপাত না করায় রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করেন তৃণমূলের সাংসদেরা। পরে ডেরেক জানান, বিতর্কের শেষে তিনি ফের বিষয়গুলি রাজ্যসভায় উত্থাপন করেছেন।
প্রকল্পের কাজ আটকে গিয়েছে (Ashwini Vaishnaw)
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) জানান, পশ্চিমবঙ্গে রেলের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য যত জমি দরকার তার মধ্যে মাত্র ২১ শতাংশ জমি পাওয়া গিয়েছে। বাকি ৭৯ শতাংশ জমি রাজ্য সরকার দিতে পারেনি। আর তার ফলে বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ আটকে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কথা বলেন। তিনি আরও বলেন জমি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় মাত্র ১৭ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ করতে তিন বছর সময় লেগেছে। এছাড়া নিউ ব্যারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত লাইনের কাজও আটকে আছে ।
আরও পড়ুন: Gold Biscuits Seized: বন্ধ ফ্ল্যাট, উদ্ধার কেজি কেজি সোনা, কোটি টাকার গয়না!
কাজের জন্য রাজ্য সরকারের জমি দরকার
তিনি মোমিনপুর থেকে বিবিদি বাগ লাইনের প্রসঙ্গ আনেন।এখানে তিনি বলেন, খিদিরপুর স্টেশনের কাজে কয়েকটি কাজের জন্য রাজ্য সরকারের জমি দরকার। সেটাও পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “এই খিদিরপুর স্টেশন পরে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে। আমরা সবাই জানি এটা কার এলাকা!” প্রসঙ্গত, ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই নির্বাচিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই রেলের জন্য জমি পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করছেন রেল মন্ত্রী।
জমি অধিগ্রহণে তৃণমূল সরকারের অনিচ্ছা?
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বাংলার রেল প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রিতার পিছনে জমি অধিগ্রহণে তৃণমূল সরকারের অনিচ্ছাকে দায়ী করে আসছেন। আজও তিনি বলেন, ‘‘মমতার কেন্দ্রে জোকা-বিবাদী বাগ রেল প্রকল্পের কাজ খিদিরপুরের কাছে জমি অধিগ্রহণজনিত সমস্যায় আটকে গিয়েছে।’’ পরে সংসদের বাইরে এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘জমির সমস্যা রয়েছে মোমিনপুরে। খিদিরপুরে নয়। ওই এলাকা কোনও ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এলাকায় পড়ে না। আসলে বাংলাকে বঞ্চনা
করতে গিয়ে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন রেলমন্ত্রী।’’