ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই, পেনসিলভেনিয়ার বাটলার শহরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আততায়ীর গুলিতে প্রায় প্রাণ হারাতে বসেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Statue of Donald Trump)। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসানো হলো এক ব্যতিক্রমী মূর্তি—যা শুধুই একটি শিল্পকর্ম নয়, বরং ট্রাম্পের রাজনৈতিক বার্তা এবং ‘অজেয়তা’র প্রতীক হয়ে উঠেছে।
কী ঘটেছিল সেদিন? (Statue of Donald Trump)
ঘটনার দিন মাত্র ২০ বছর বয়সি আততায়ী টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস মঞ্চ থেকে ১১৯ মিটার দূরের একটি ছাদ থেকে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়ে (Statue of Donald Trump)। গুলিগুলি ট্রাম্পের কানের কাছ ঘেঁষে চলে গেলেও প্রাণে রক্ষা পান তিনি। আততায়ী পরে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়। সেই মুহূর্তে ট্রাম্প আহত অবস্থাতেই মঞ্চে উঠে জনতার উদ্দেশে হাত তুলে স্লোগান দেন—“লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই।” ঠিক সেই মুহূর্তটিই এখন রূপ পেয়েছে ব্রোঞ্জের মূর্তিতে।
কোথায় স্থাপন হয়েছে মূর্তি? (Statue of Donald Trump)
ওভাল অফিসে ট্রাম্পের (Donald J. Trump) রেজ়োলিউট ডেস্কের পাশে স্থাপন করা এই মূর্তিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি আকাশের দিকে হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছেন (Statue of Donald Trump)। তাঁর চারপাশে তিন জন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট—যারা তাকে সেই মুহূর্তে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। হোয়াইট হাউসের সমাজমাধ্যমে মূর্তির ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই।” স্পষ্টতই এই মূর্তি কেবল একটি স্মারক নয়, বরং ট্রাম্পের ব্যক্তিত্ব, দৃঢ়তা এবং রাজনৈতিক বার্তার রূপান্তর।

আরও পড়ুন:New Pope Peace Message : আর কোনও যুদ্ধ নয়! বিশ্বশান্তির বার্তা দিলেন নতুন পোপ চতুর্দশ লিয়ো
আঘাত পেলেও হার না মানা (Statue of Donald Trump)
এই মূর্তির পাশাপাশি হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইংয়ের গ্র্যান্ড ফয়ারে ঝোলানো হয়েছে ট্রাম্পের একটি আত্মপ্রতিকৃতি (Statue of Donald Trump)। ছবিতে দেখা যাচ্ছে রক্তাক্ত কান, মুখে রক্তের ছিটে, কিন্তু তার হাত শূন্যে উঁচু করে মুষ্টিবদ্ধ। ছবির পটভূমিতে জ্বলজ্বল করছে মার্কিন পতাকা। এটি যেন মার্কিন জাতিকে ‘আঘাত পেলেও হার না মানার’ এক প্রতীকী চিত্র।

আরও পড়ুন: India Pakistan Ceasefire : পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির অনুরোধ করেনি, ভারতের দাবিকে অস্বীকার পাকিস্তানের!
ওবামার প্রতিকৃতি সরানো হয়েছে (Statue of Donald Trump)
তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ যে বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, তা হলো—এই আত্মপ্রতিকৃতি স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতিকৃতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে স্টেট ফ্লোরের এনট্রান্স হল থেকে (Statue of Donald Trump)। অনেকেই একে রাজনৈতিক বার্তা হিসেবেই দেখছেন, যা ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক অবস্থান জাহির করে।ট্রাম্পপন্থীদের কাছে এই উদ্যোগ যেমন ‘দেশপ্রেম এবং সাহসের প্রতীক’, বিরোধীদের কাছে তা ততটাই বিতর্কিত ও আত্মপ্রচারের দৃষ্টান্ত। তবে এটুকু স্পষ্ট যে, ট্রাম্প তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতিকে কেবল কর্মের মাধ্যমে নয়, চিহ্ন, শিল্প এবং প্রতীকীর মধ্যেও চিরস্থায়ী করে তুলতে চাইছেন।