ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডিসেম্বর ১৯, বৃহস্পতিবার ভারতীয় শেয়ারবাজার বড় ধাক্কা খেল (Stock Market Crash)। প্রধান সূচকগুলোতে ১ শতাংশেরও বেশি পতন ঘটেছে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৫ সালের জন্য যে সুদ হার কমানোর দিশা দেখিয়েছে, তা বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে। যদিও ২৫ বেসিস পয়েন্ট হার কমানো প্রত্যাশিত ছিল, তবে ২০২৫ সালে মোট দুটি ২৫ বেসিস পয়েন্ট কাটার নির্দেশিকা, যেখানে বাজার তিন বা চারটি কাটার আশা করেছিল, বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেয়।
এই নিয়ে টানা চারটি সেশনে ভারতীয় শেয়ারবাজার পতনের মুখ দেখল। সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ উচ্চতার তুলনায় নিফটি এখন ৯ শতাংশেরও বেশি নিচে। অতিমূল্যায়ন এবং প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল আয় বৃদ্ধির কারণে বাজারে আরও চাপ দেখা দিয়েছে।
বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি (Stock Market Crash)
বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হচ্ছে যে ভারতীয় বাজার বর্তমানে একটি রূপান্তর পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগের স্টাইলগুলির গতিশীলতা হ্রাস, চক্রাকার সংশোধন এবং দুর্বল আয় বৃদ্ধিকে বাজারের অস্থিরতার (Stock Market Crash) মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য এই পরিস্থিতি একটি সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কৌশলগত পোর্টফোলিও পুনর্বিন্যাস এবং মানসম্পন্ন স্টকগুলিতে ফোকাস করা এই সময়ে সঠিক পদক্ষেপ হবে।
বাজার প্রবণতা (Stock Market Crash)
গত তিন মাসে বিনিয়োগের স্টাইলগুলিতে ৬ শতাংশের সমান পতন (Stock Market Crash) ঘটেছে, যেখানে “লো ভোলাটিলিটি” এবং “মোমেন্টাম” ফ্যাক্টরগুলিও তীব্র প্রভাবিত হয়েছে। ছোট এবং মাঝারি শেয়ার সূচকগুলির মূল্যায়নে ১৮ থেকে ৩২ শতাংশের প্রিমিয়াম দেখা গেছে, যা তাদের অতিমূল্যায়নের ইঙ্গিত দেয়।
অর্থনৈতিক মন্থরতা ও বিদেশি বিনিয়োগের প্রভাব
নভেম্বরে, ৪৫,৯৭৪ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগের আউটফ্লো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ বন্ড ইল্ড বাজারে দুর্বলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশে নেমে আসা এবং উৎপাদন ও খনন খাতে দুর্বল পারফরম্যান্স বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
ভবিষ্যৎ দিশা
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, মধ্য মেয়াদি অস্থিরতা বজায় থাকতে পারে, তবে দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগে ১২-১৫ শতাংশ আয়ের লক্ষ্য রাখা উচিত। একই সঙ্গে তিনি বিনিয়োগকারীদের বাজারে সাময়িক পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাজার বর্তমানে কোনও বড় চালিকা শক্তি ছাড়াই সীমিত পর্যায়ে থাকতে পারে। তবে বিদেশি বিনিয়োগের আউটফ্লো কমে আসা এবং ভোক্তাদের ইতিবাচক মনোভাব বাজারে স্বল্পমেয়াদী স্বস্তি আনতে পারে।