ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কোনও ফাঁক দিয়ে জঙ্গি এপারে আসতে না পারে তার জন্য সমস্ত (Sundarban Border) সীমান্তেই কড়া নজরদারি করা হচ্ছে। সুন্দরবন জল সীমান্তেও জঙ্গি ঠেকাতে কড়া নজর রাখা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। প্রশাসন সূত্রের খবর, এখানে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে।
জলসীমান্ত ব্যবহার করে এপারে আসতে পারে (Sundarban Border)
সুন্দরবন উপকূলের ওপারে বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে (Sundarban Border)। পাকিস্তানের জঙ্গিরা বাংলাদেশ জলসীমান্ত ব্যবহার করে এপারে চলে আসতে পারে। কারণ এখন পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ হয়েছে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। তার উপর পদ্মাপারে যখন অশান্তির বাতাবরণ চলছিল তখন বাংলাদেশের নাগরিক থেকে শুরু করে জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছিল এপারে। সুন্দরবনে জঙ্গিরা ঢুকেছিল জলসীমান্ত পেরিয়ে। তাই একই পথ ব্যবহার করতে পারে পাকিস্তানের জঙ্গিরা। এই কারণেই নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন (Sundarban Border)
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে জঙ্গি সংগঠনগুলি (Sundarban Border)। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: BSF Officer In Rishra: ‘হিম্মত রাখো লড়কা জলদি আ জায়েগা’ পূর্ণমের রিষড়ার বাড়িতে বিএসএফের আশ্বাস
নদীপথে নিয়মিত টহল
উপকূল থানাগুলির পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনও জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এমনকী, মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলিতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, ‘‘আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী এবং স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।”