ট্রাইব টিভি ডিজিটাল বাংলা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra), যিনি ‘কালীঘাটের কাকু’ নামে পরিচিত, তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্ট সোমবার জামিনের মেয়াদ ২২ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। কালীঘাটের কাকুর চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার কারণে প্রায় এক মাসের জন্য এই জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বিরক্ত হচ্ছেন কাকু (Sujay Krishna Bhadra)
গত সপ্তাহে আদালতে সুজয়ের আইনজীবী কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি নিয়ে (Sujay Krishna Bhadra) অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বাহিনীর জওয়ানরা তাঁর ব্যক্তিগত শৌচাগারে ঢুকে যাচ্ছেন এবং বাড়ির বিভিন্ন স্থানে তাঁদের উপস্থিতি খুবই অস্বস্তিকর। আইনজীবী আরও জানান, জওয়ানরা সারাদিন এয়ার কন্ডিশনারের ঠাণ্ডা হাওয়ায় বসে থাকছেন, যা সুজয়ের জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর।
অকপট সুজয়ের আইনজীবী (Sujay Krishna Bhadra)
এই ব্যাপারে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, নজরদারি চালাতে হলে বাহিনীর সদস্যদের নির্দিষ্ট জায়গায় (Sujay Krishna Bhadra) অবস্থান করতে হবে। এর ফলে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও বাড়িতে থাকা দরকার। আদালত পরে নির্দেশ দেয় যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা সুজয়ের বাড়ির বাইরে অবস্থান করবে, এবং সেখানে অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গে গরমের জন্য পাখার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে।
শর্ত সাপেক্ষে জামিন
সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাই কোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছিল। তবে জামিনের সঙ্গে কিছু শর্তও ছিল, যেমন, চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোনোর অনুমতি নেই, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করা যাবে না, এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি থাকবে। সুজয়কৃষ্ণের মোবাইল নম্বর সিবিআইকে দিতে হবে এবং বাইরে বেরোতে হলে সিবিআইয়ের অনুমতি নেওয়া ছিল বাধ্যতামূলক ছিল।

মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন
জামিন পাওয়ার পর থেকে সুজয়কৃষ্ণ বেহালার নিজের বাড়িতেই রয়েছেন। তাঁর এই বাড়িতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সম্প্রতি জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তিনি আদালতে আবেদন করেন। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদনের ভিত্তিতে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচরণ নিয়েও একটি নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: Weather Report Kolkata: শহরজুড়ে বাড়বে গরম, রোদের তেজও বাড়বে, বৃষ্টি দেবে না দেখা!
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালে সুজয়কৃষ্ণ প্রথমে ইডি দ্বারা গ্রেফতার হন এবং পরে সিবিআইও তাঁকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় তার জামিনের প্রক্রিয়া এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারির বিষয়টি রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। আসন্ন শুনানি এবং সুজয়ের জামিনের পরিস্থিতি রাজনৈতিক এবং আইনগতভাবে রাজ্যের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।