ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গঙ্গাসাগরের শেষ দিনেও বিজেপি এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) পাল্টা আক্রমণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সদস্যপদ সংগ্রহের চক্করে উনি সব ভুলে যাচ্ছেন বলে সুকান্তকে কটাক্ষ অরূপের। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে মেলার শেষ দিনেও শাসক-বিরোধী তরজা অব্যাহত।
বুধবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) অভিযোগ করেন, যেখানে কুম্ভমেলা থেকে কোটি কোটি টাকা সরকারের আয় হচ্ছে সেখানে গঙ্গাসাগরে সরকারি কোনও আয় নেই, কর্মসংস্থান নেই। রাজ্য সরকার শুধু বেলাগাম খরচা করে যাচ্ছে। সরকারের আয় এবং ব্যয় কত তা প্রকাশ্যে আনা হোক।
তার উত্তরে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘সরকারকে কিছু জনসেবামূলক কাজকর্ম করতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সেবাই রাজ্য দেশ বিদেশ থেকে আশা পূর্ণ্যার্থীদের দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বিরোধীরা কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই তারা এসব বলছেন।’ বিজেপি থেকে এও বলা হয় ভোটব্যাঙ্কের জন্যই গঙ্গাসাগরে এত জাঁকজমক করে মেলার আয়োজন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। যেখান থেকে সরকারের কোনও আয় নেই, কোনও কর্মসংস্থান নেই।
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/aroop-biswas-on-sukanta-majumdar-targets-over-mela-2025/
তার উত্তর দিয়েছেন রাজ্যে ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী। অরূপ বিশ্বাস বিজেপির এই দাবিকে নস্যাৎ করে পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, ‘ এসব যারা বলছে তাদের রাজ্যে হয়তো অন্য রাজ্যের মানুষ ভোট দেয়। আমাদের এখানে বাংলার মানুষ ভোট দেয়। তাদের সব কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না আমরা। রাজ্য দেশ বিদেশ থেকে পুণ্যার্থীরা এসে শান্তিপূর্ণভাবে নির্ঝঞ্ঝাটে গঙ্গাসাগরে পুজো দিতে পেরেছেন এবং তারা নিরাপদে ফিরে যেতে পেরেছেন এটাই আমাদের লক্ষ্য আমাদের প্রাপ্তি।’
প্রসঙ্গত, এদিনও গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা না করার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। আগের দিন সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছিলেন রাজ্য সরকার বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী কাছে যথাযথভাবে চিঠি লেখেননি বা যোগাযোগ করেননি। রাজ্য যদি নিয়ম মেনে কেন্দ্রকে জানাই তাদের অবশ্যই সেটা বিবেচনা করা হবে। প্রয়োজনে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি যদি বৈঠক করেন, সেই বৈঠকেও তিনি উপস্থিত থাকতে রাজি আছেন (Sukanta Majumdar) ।
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/gangasagar-cleaning-campaign-started/
তার উত্তরে অরূপ বিশ্বাস বলেন,’উনি তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উনি প্রধানমন্ত্রীকে বলুক না। উনার পক্ষে তো কাজটা অনেক সহজ। উনি এখানে থাকেন না। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন কিনা বা কতবার চিঠি দিয়েছেন উনি কিছুই জানেন না। কবে উনারা রাজ্যে ক্ষমতায় আসবেন, তবে সব কিছু করবেন। উনারা ১০০ বছরেও রাজ্যে ক্ষমতায় আসবেন না। দিবাস্বপ্ন দেখছেন (Sukanta Majumdar) । মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি কতবার দিয়েছেন, উনি ভুলে গিয়েছেন। সদস্যপদ সংগ্ৰহের চক্করে উনি সব ভুলে যান।’ সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে গঙ্গাসাগর মেলা মিটলেও দিনের শেষে জাতীয় মেলা ইস্যুতে অব্যাহত রইল শাসক-বিরোধী তরজা।