ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দীর্ঘ নয় মাসের মহাকাশ ভ্রমণের অবসান ঘটাতে চলেছেন (Sunita Williams) ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহকর্মী বুচ উইলমোর। স্পেসএক্সের সহযোগিতায় পৃথিবীতে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মহাকাশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন।
মহাকাশ থেকে ভিডিয়োবার্তা (Sunita Williams)
সম্প্রতি, সুনীতা এবং বুচ মহাকাশ থেকে একটি ভিডিয়োবার্তা পাঠান, যেখানে তাঁরা তাঁদের অনুভূতি (Sunita Williams) ব্যক্ত করেছেন। সুনীতা জানান, “আমরা শীঘ্রই ফিরছি। আমাদের জন্য প্ল্যান করতে ভুলবেন না, কারণ আমাদের ফিরে আসার সময় ঘনিয়ে আসছে।” এই কথাগুলি শোনার পর স্পষ্ট হয়ে যায় যে, দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার পর পৃথিবীতে ফেরার জন্য তাঁরা কতটা আগ্রহী। তাঁর সহকর্মী বুচও ধন্যবাদ জানান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
বছর ভর অপেক্ষা (Sunita Williams)
গত বছরের জুন মাসে আট দিনের একটি সফরের উদ্দেশ্যে মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনীতা ও বুচ (Sunita Williams), কিন্তু একটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাঁদের ফিরতি যাত্রা আটকে যায়। এরপর থেকে বিভিন্ন কারণে তাঁদের ফেরার পরিকল্পনা বার বার পিছিয়ে গেছে, যা তাঁদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশেষে, স্পেসএক্সের ড্রাগন যান তাঁদের নিয়ে পৃথিবীর দিকে রওনা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: Sunita Williams:পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতারা, মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে গেল ক্রিউ-১০
সরাসরি সম্প্রচার
নাসা সম্প্রতি সুনীতাদের পৃথিবীতে অবতরণের সময় ঘোষণা করেছে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিটে ফ্লরিডার উপকূলে নামবেন তাঁরা। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ হবে। নাসা জানিয়েছে, এই অবতরণ প্রক্রিয়ার সরাসরি সম্প্রচার সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে।

সঙ্গে কারা?
সুনীতা এবং বুচের সাথে মহাকাশযানে আরও তিনজন মহাকাশচারী থাকবেন। তারা হলেন নাসার নিক হগ, রুশ নভশ্চর আলেকজ়ান্ডার গর্বুনভ এবং জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি টাকুয়া ওনিশি। তাঁদের মহাকাশ স্টেশনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে পৃথিবীতে ফিরতে হচ্ছে সুনীতা এবং বুচকে।
মহাকাশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের এই অভিযান এবং তাঁদের ফিরে আসার অপেক্ষা বিশ্বজুড়ে মহাকাশ অনুরাগীদের জন্য একটি আনন্দের খবর হয়ে উঠেছে। মহাকাশের এই অভিযানে তাঁরা যে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তা কেবল বিজ্ঞানী এবং গবেষকদেরই নয়, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে একটি নতুন উদ্দীপনা জাগাতে পারে।