ট্রাইব টিভি ডিজিটাল বাংলা: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের এখনও আর এক বছর (Suvendu Adhikari) বাকি। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার চেষ্টা করছে। প্রধান প্রতিপক্ষ, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি, নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে, হলদিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনৈতিক পরিসরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে শিল্প ও সুশাসনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
বিজেপির প্রতিশ্রুতি (Suvendu Adhikari)
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যোগী আদিত্যনাথের মতো সুশাসন ও সুরক্ষা দেবে (Suvendu Adhikari) বিজেপি।” তিনি উল্লেখ করেন যে, মহিলাদের জন্য ভাতা ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হবে। তিনি আরও ঘোষণা করেন, “বিজেপি ১ লাখ ২০ হাজারের বাড়ির পরিবর্তে ৩ লাখের বাড়ি দেবে এবং সোলার আলো বসিয়ে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ফ্রি দেবে।” তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদির মাধ্যমে পাইপের জল, সব বাড়িতে শৌচালয় এবং প্রতিবছর কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
বড় অঙ্গীকার (Suvendu Adhikari)
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির হয়ে আরও একটি অঙ্গীকারও (Suvendu Adhikari) করেছেন যে টাটা গ্রুপকে রাজ্যে ফেরানোর জন্য তিনি তাদের হাত পা ধরে চেষ্টা করবেন। এর পাশাপাশি গুজরাটের মতো উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতির কথা বলে তিনি পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের প্রসারের আশ্বাস দেন। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা বলেছেন, অসমের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছেন।

তৃণমূল বনাম বিজেপি (Suvendu Adhikari)
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জন্য নির্বাচনে জিততে (Suvendu Adhikari) গেলে শুধু হিন্দুত্বের রাজনীতিতে ভরসা করা যথেষ্ট নয়। তৃণমূল সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা অনেক মানুষের মধ্যে রয়েছে, যার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প অন্যতম। তৃণমূল অভিযোগ করছে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে, এবং এই কারণেই পরোক্ষভাবে তারা শুভেন্দুর ঘোষণাকে তাচ্ছিল্য করছে।
আরও পড়ুন: Amit Shah: মার্চের শেষে বাংলায় আসছেন না শাহ, পিছিয়ে গেল শাহী সফর
বাস্তব বনাম কল্পনা
তবে শুভেন্দুর ৩ হাজার টাকার ভাতা ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষে এত পরিমাণ টাকা কোথা থেকে আনা হবে, সেই বিষয়ে শুভেন্দু কোনও পরিষ্কার দিশা দেখতে পারেননি। এই অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, বিজেপির নেতৃবৃন্দ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনসমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু বাস্তবতার সঙ্গে তা কতটা মানানসই হবে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে যাচ্ছে।