ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এখন থেকে কোনও ছবির প্রিমিয়ারে যাবেন না স্বস্তিকা মুখার্জি (Swastika Mukherjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) রীতিমত বেশ রাগত স্বরে বড় ঘোষণা করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নিজের ছবির পাশাপাশি অন্যের ছবির প্রিমিয়ারেও তিনি যাবেন না। এমনি থেকেও তিনি কম যান। কিন্তু কারণটা কী ? সেই সমস্ত কারণ তিনি বিশদে লিখলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অধিকাংশ অনুরাগীরা বললেন, স্বস্তিকা একেবারেই যথার্থ বলেছেন। ঠিক কী হয়েছে অভিনেত্রীর সঙ্গে? কেনই বা সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ এহেন পোস্ট করলেন?
অভিযোগের সঙ্গে সহমত অনুরাগীরা (Swastika Mukherjee)
বৃহস্পতিবার রাতেই বড় ঘোষণা করলেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জির (Swastika Mukherjee)। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুর্গাপুর জংশন ছবি। একের পর এক কাজ করছেন। যখন ছবির প্রিমিয়ারে যান, প্রচুর ক্যামেরা তাঁকে ঘিরে ধরে। বিষয়টা নিয়ে তিনি বিরক্ত। এছাড়াও বেশ কিছু অভিযোগ করলেন। অভিনেত্রীর অভিযোগের সঙ্গে সহমত অনুরাগীরাও।
ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় …..(Swastika Mukherjee)
অভিযোগ করে অভিনেত্রী বলেন, ” এখন সবার হাতে ফোন (Swastika Mukherjee)। সমস্ত ফুটেজ ওই ফোনই তোলা হচ্ছে। কে আসল মিডিয়া, কে ইনফ্লুয়েন্সার, কে ব্লগার বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদেরকে বাইট দেব? বা তাদের ফোনে বন্দি হব জানি না। ….. কোনও নির্ধারিত জায়গা নেই। যেখানে মোবাইল হাতে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়াবেন। সবার গায়ের উপর উঠে পড়ে, পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যাস বেস্ট রিলটা বানিয়ে ফেলবে। আমার ছবি তুলতে গিয়ে সেদিন ট্রেলার লঞ্চে কেউ একটা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল। এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। রাস্তাঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই। কিন্তু তার বাইরে নিজের সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি পিছনে বাউন্সার নিয়ে যেতে হয়, কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই। তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো।
স্বস্তিকার আক্ষেপ
রীতিমত আক্ষেপ করেই বললেন, অনেক সময় ক্রিউ মেম্বারদের ডাকা হয় না। অভিনেত্রীর কথায়, “যে প্রোডাকশন দাদারা গোটা সিডিউলে মুখের কাছে জল চা খাবার ধরল। গরমের দিনে গ্লুকোজ গুলো নিয়ে এল….. তাকে প্রিমিয়ারে নেমন্তন্ন করাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।”
স্মৃতিচারণা
এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্মৃতির পাতায় ডুব দিলেন অভিনেত্রী। বলেন, ” বাবার সঙ্গে বাবার অনেক ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে গেছি। টগরি দেখতে গেছিলাম নবীনা প্রেক্ষাগৃহে। সেই ছবিতে ছিলেন বাবা এবং সন্ধ্যা রায়। সেখানে সকল কাস্ট ক্রিউকেই ডাকা হত। পরিচালক থেকে হিরো এবং যে জামা কাপড় ইস্তিরি করেছে তাকেও। শুধু দেখনদারিতে এসে ঠেকেছে সব। আর খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না।”
সিনেমা দেখবেন টিকিট কেটে
একরাশ অভিযোগ নিয়েই বললেন, বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে, পরে তিনি টিকিট কেটে ছবি দেখে নেবেন। এমনি থেকেও তিনি অন্যদের সিনেমা টিকিট কেটেই দেখেন। এবার নিজের ছবি দেখার ক্ষেত্রেও তাই করবেন।
নিমন্ত্রণ না করার অনুরোধ
বেশ বিরক্ত প্রকাশ করেই অভিনেত্রী শেষে বলেন, এটা তার একেবারেই ব্যক্তিগত মতামত এবং ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ওই পোস্টে আরও বলেন, “আমায় আর নেমন্তন্ন করবেন না, মুখের উপর না বলতে না পারলে হাসিমুখে কাটিয়ে দেব। আমি যে ছবিতে কাজ করব, জীবন উজাড় করে তার প্রচার করব।”