ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঠাকুরপুকুরের গাড়ি দুর্ঘটনা নিয়ে টলিউডের অন্দরে চলছে নানা (Thakurpur Car Accident) কথা। সহযাত্রীদের শাস্তির দাবি চাইছেন অনেকে, অনেকেই আবার বলছেন অন্য কথা। ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটালের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এবার এই বিষয়ে অকপট জবাব দিলেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী চৈতী ঘোষাল ও অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়।
এটাও একটা খুন (Thakurpur Car Accident)
অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “এটা একটা (Thakurpur Car Accident) অপরাধ। এটাও একটা খুন, আমি বলবো। যার প্রাণটা গেলো, যিনি মারা গেলেন, তাকে নিয়ে কেউ চিন্তিত নই। আমরা সবাই ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে কে মদ খেয়েছে, কী হয়েছে, সঙ্গে কারা কারা ছিল সেই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আর হবেও। কিন্তু যার প্রাণটা গেল, তিনি কি বাড়ির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন, তার বাড়িতে আর কেউ আছে, সেই নিয়ে কোনও কথা হচ্ছে না। আমি চাইবো আমাদের ইন্ডাস্ট্রির লোকেদের তো কিছু দায়িত্ব বর্তায়। আমার যদি সবাই মিলে ওনার পাশে দাঁড়াই, তাহলে ভালো হবে।”
প্রত্যেকের শাস্তি হওয়া উচিত (Thakurpur Car Accident)
তিনি আরও জানান, “দ্বিতীয়ত, ভিকটো তো অবশ্যই অপরাধী, কারণ ও ধাক্কা মেরেছে নেশার (Thakurpur Car Accident) ঘোরে। কিন্তু গাড়িতে যারা ছিল, তারাও সবাই সমান অপরাধী। তাদের কাছে যখন নেশা করার টাকা ছিল, নিশ্চয়ই ড্রাইভার রাখারও টাকা থাকবে। আর ড্রাইভার রাখার টাকা না থাকলে ক্যাব করার টাকা থাকবে। গাড়ির বাকিরা অ্যালাউ করলো কি করে ভিকটোকে গাড়ি চালাবার জন্য? নাকি নেশার ঘোরে এতটাই মগ্ন ছিল যে কে চালাচ্ছে, কী চালাচ্ছে সে সব কিছুই খেয়াল করা হয়নি। তো আমার মনে হয় ভিকটোযে সঙ্গে যারা যারা ছিল ওই গাড়িতে, প্রত্যেকের শাস্তি হওয়া উচিত।”
কঠোরতম শাস্তির দাবি
অভিনেত্রী চৈতী ঘোষাল জানিয়েছেন, “ঠাকুরপুকুরের ঘটনাটা একটা জঘন্য, দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত একটা ঘটনা। কল্পনা করা যায়না নেশা করে একজন, দুজন, তিনজন করে মারতে মারতে গাড়িটা চলেছে, সবশেষে গাড়ির ধাক্কায় একজনের প্রাণ চলে গেছে। এদের কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত। আমি কনসিডার করিনা ওদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির লোক বলে। রোজার মধ্যে ওরা না খেয়ে কাজ করে। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রি। যারা ঠাকুরপুকুরে ঘটনাটা ঘটিয়েছে তারা আমাদের ইন্ডাস্ট্রি নয়। যে মানুষটা বাজার করতে বেরিয়েছে, তার সন্তানের বিয়ে কয়েকদিন বাদে, তার কথা ভাবলেই খারাপ লাগে। এটা তো দুর্ঘটনা নয়, এটা ইচ্ছাকৃত ঘটানো কাণ্ড।”
আরও পড়ুন: Thakurpukur Car Accident: মহিলার গায়ে হাত দিচ্ছে, বাংলায় এটা প্রত্যাশা নয়: সাহেব, ভরত কল
…তাদেরও কি প্রাণের মায়া নেই?
অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায় এর কথায়, “এই ঘটনাটায় আমি অবাক। এতজন পরিণত বয়সের মানুষরা একসঙ্গে পার্টি করে, নিজেদের বিপদে ফেললেন ও এমন একটা ঘটনা ঘটালেন যে, তারা জানতেনও না তার জীবনে কী অপেক্ষা করে আছে। ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ শুধু নিজের জীবনের জন্য তো শুধু বারণ করেন না, বাকিদের জন্যও করেন। একটা মানুষ রবিবার বাজার করতে গিয়ে আর ফিরলেন না। এটা তো ভিডিও গেম নয়, এটা তো জীবন। সব কটা নাম যেহেতু আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত, তাই খুব খারাপ লাগছে। কারোর প্রাণ চলে যাওয়া, কারোর আহত হওয়াটা আমি মেনে নিতে পারছি না। যারা গাড়িতে ছিলেন বা যে যারা গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাদেরও কি প্রাণের মায়া নেই? আমি ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভকে কখনোই সমর্থন করি না।”