ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : ঘুমের মধ্যে অনেকেই সশব্দে নাক ডাকেন (Snoring)। সঙ্গীর নাক ডাকার গর্জনে অনেকেরই ঘুমের শান্তি বিঘ্নিত হয়। কিছু মানুষ বিষয়টি স্বীকার করেন, আবার অনেকে একে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। চিকিৎসকদের মতে, শরীরচর্চার অভাব, অনিয়মিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাসের কারণে ঘুমের সময় মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার পাশাপাশি, নাক ডাকার আরেকটি কারণ হতে পারে ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’(Sleep apnea)। বিশেষত, ৫০ বছর বয়সের আগে যদি কারও নাক ডাকার (Snoring) সমস্যা শুরু হয়, তবে চিকিৎসকেরা এটিকে অবহেলা না করতে পরামর্শ দেন। অনেকেই ভাবেন, নাক ডাকা সাধারণ একটি বিষয়, তবে দিনের পর দিন এটি অবহেলা করলে কিন্তু অজান্তেই মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিছু সাধারণ পরীক্ষা এবং সুস্থ জীবনযাপন অনুসরণ করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
নাক ডাকার পিছনে কি কারণ ? (Snoring)
নাকের ভিতরে শ্বাস চলাচলে বাধা, গলার পিছনের আল-জিভ বা সফ্ট প্যালেটের টিস্যু ঢিলে হয়ে গিয়ে ভাইব্রেশনের কারণে শব্দ হতে পারে। এছাড়াও, জিভের নীচের অংশ থেকেও শব্দ তৈরি হতে পারে, অথবা উপরের সবকটি কারণ একত্রিত হয়ে শব্দ (Snoring) সৃষ্টি করতে পারে।
নাক ডাকার পিছনে জেনেটিক, এনভায়রনমেন্টাল এবং অ্যানাটমিক্যাল কারণ তাকতে পারে। অনেকেই পারিবারিকভাবে নাক ডাকেন, যা জিনের কারণে হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, অ্যানাটমিক্যাল স্ট্রাকচার দায়ী হয়, যেমন গলার কাছে অতিরিক্ত ফ্যাট ডিপোজিশন, যার ফলে অক্সিজেন প্রবাহ পথ সংকীর্ণ হয়ে যায়। যত বেশি সংকীর্ণতা, শ্বাস বন্ধ হওয়ার প্রবণতাও তত বেশি। ‘এনভায়রনমেন্টাল’ কারণের মধ্যে ধূমপান এবং মদ্যপান অন্তর্ভুক্ত। কিছু মানুষ স্বাভাবিকভাবে নাক ডাকেন না, কিন্তু মদ্যপান করলে তা হয়ে থাকে। অত্যধিক ক্লান্তিও নাক ডাকার পিছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
নাক ডাকার কমানোর ঘরোয়া সমাধান (Snoring)
ধূমপান পরিহার
অতিরিক্ত ধূমপান শ্বাসনালীতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং নাসিকাপেশি স্ফীত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান বন্ধ করলে অনেক ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা কমে, যার ফলে নাক ডাকার (Snoring) প্রবণতাও কমে যেতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন কমানো
বেশি ওজন নাক ডাকার একটি প্রধান কারণ। ওজন যত বাড়ে, নাক ডাকার সম্ভাবনাও তত বেশি হয়। অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেললে নাক ডাকার সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
রসুন
রসুন ঠান্ডা লাগা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। গরম জলে রসুন মিশিয়ে সেই জল দিয়ে গার্গল করলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা যেমন কমে, তেমনই নাক ডাকার সমস্যা থেকেও কিছুটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

দারচিনি
নাক ডাকার সমস্যা কমাতে হালকা গরম জলে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে গার্গল করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। গরম জলে হলুদ মিশিয়ে খেলেও উপকার মিলতে পারে।

আরও পড়ুন : Cleaning Hacks: চশমা দাগছোপে ভরা? এভাবে চশমা মুছলেই ঝকঝকে হবে, রইল ঘরোয়া টিপস
অলিভ অয়েল
ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুই নাকে দু’ফোঁটা অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে নাক অনেকটা পরিষ্কার থাকে, ফলে নাক ডাকার সমস্যা কমে যেতে পারে।
আরও পড়ুন : Egg Face Pack: ডিমেই ফিরবে ত্বকের জেল্লা, জানুন কি ভাবে মাখবেন
বিছানা-বালিশ ঝেড়ে নিন
প্রতি রাতে শোবার আগে বিছানা আর বালিশ দুটিই ভাল করে ঝেড়ে নিন। এতেই নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। অনেক সময় ধুলো থেকে অ্যালার্জি হয়ে নাক বন্ধ হলে নাক ডাকার সমস্যা হয়। অ্যালার্জি থাকলেও তার চিকিৎসা করা প্রয়োজন।