ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাঙালি খাদ্যরসিক জাতি(Evening Snacks Recipe)৷ বাংলার প্রাচীন ইতিহাসে, সাহিত্যে নানা রকমের খাবারের বর্ণনা পাওয়া যায়৷ কিন্তু প্রতিদিন নতুন নতুন কী বানানো যায় সে ভেবে হয়রান হন অনেকেই। বুঝতে পারেন না রোজ নতুন নতুন কী ডিস বানালে খুশি হবে ছোট থেকে বড় সমস্ত সদস্যরা। ম্যাগি, চাউমিন, স্যান্ডউইচের বাইরে গিয়ে নতুন কিছু বানাতে চাইলে নজর দিন এই রেসিপিগুলোর উপরে। রেসিপি জেনে নিলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন। চায়ের সঙ্গে টা হিসেবে এর জবাব নেই। পরিবার খুশি হবে আর আপনিও।
আমির খসরুর সময় সানবোসাগ (Evening Snacks Recipe)
শিঙাড়ার জন্ম হয়েছে পারস্য বা বর্তমানের ইরানে(Evening Snacks Recipe)। সেদেশে এর নাম ছিল সানবোসাগ। সুফি সংগীতজ্ঞ, কবি, দার্শনিক আমির খসরুর সময় দিল্লিতে এই সানবোসাগ আসে। সেই সময় ময়দার তিন কোণা ভাঁজে থাকত মাংস। পরবর্তী সময়ে মাংসের পরিবর্তে আলুর পুর ভরে তৈরি হয় শিঙাড়া। দিল্লি সহ অনেক জায়গায় জনপ্রিয় এই খাবার। ভারতীয় নামকরণ হয় সামোসা।
মাংসের শিঙাড়া (Evening Snacks Recipe)
উপকরণ
ময়দা- ১ কাপ, মাখন- ২ টেবিল চামচ, নুন- ১/২ চা চামচ, জল (Evening Snacks Recipe)
পুরের জন্য
মটন কিমা- ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ- ১টি (মিহি করে কাটা), রসুন- ২-৪টি কোয়া (মিহি করে কাটা), আদা- ১/২ ইঞ্চি (মিহি করে কাটা), কাঁচালঙ্কা- ২টি (মিহি করে কাটা), পুদিনা পাতা- ৬টি (মিহি করে কাটা), ধনে পাতা- ২ টেবিল চামচ (মিহি করে কাটা), হলুদ গুঁড়ো-১/৪ চা চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো- ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো- ২ চা চামচ, গরম মশলা গুঁড়ো- ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়ো- ১ চা চামচ, নুন- স্বাদমতো, সাদা তেল

আরও পড়ুন:Cutlet Recipe: বিকেলের স্ন্যাক্সের জন্য শিখে রাখুন দুই নিরামিষ কাটলেট রেসিপি
প্রণালী
প্রথমে ময়দা চালুনিতে চেলে নিন। তাতে মাখন এবং নুন মিশিয়ে ভালো করে ময়ান দিন। লুচির তুলনায় শিঙাড়ায় বেশিক্ষণ ধরে ময়ান দিতে হয়। এবার অল্প অল্প করে জল দিয়ে ময়দা মাখুন। একবারে বেশি জল একেবারেই দেবেন না। ডো-টি একটু শক্ত হবে। এবার ময়দা ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা ভেজে নিন। কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে মটন কিমা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। মাংসে হলুদ, লঙ্কা, জিরা, ধনে, গরম মশলা এবং নুন দিয়ে ভাজতে থাকুন। মশলা থেকে তেল বের হতে শুরু করলে তাতে সামান্য জল দিয়ে মাংস সিদ্ধ করে নিন। জল শুকিয়ে গেলে দেখবেন মাংসও সিদ্ধ হয়ে গেছে। এবার এতে ধনেপাতা যোগ করে নাড়াচাড়া করে নিন। পুর ঠান্ডা করে নিন। এবার শিঙাড়া গড়তে হবে। শিঙাড়া গড়ার কাজটি একটু কঠিন। প্রথমে লেচি কেটে গোল করে বেলে নিন। তারপর তার ঠিক মাঝখানে ছুরি দিয়ে লম্বালম্বি করে চিরে কেটে নিন।
একটি গোল দুই ভাগে কাটা হয়ে গেলে এক একটি ভাগ দিয়ে একটি করে শিঙাড়া গড়তে হবে। একটি ভাগ শিঙাড়ার মতো করে খোপ করে তাতে এক চামচ পুর ভরে নিন। জল দিয়ে তার মুখ সিল করে দিন। ত্রিভুজাকৃতি শিঙাড়া তৈরি হয়ে যাবে। প্রত্যেকটি শিঙাড়া গড়া হয়ে গেলে তারপর ভাজার পালা। ডুবো তেল গরম করে তাতে সাবধানে শিঙাড়াগুলি ছেড়ে দিন। আবার শিঙাড়া তৈরি করে রেখে দিন। ঠিক খাবার আগে ভেজে নিলেই হবে। সঙ্গে অবশ্যই লাগবে টক-মিষ্টি চাটনি।

চিঁড়ের গুণ
চিঁড়ে বহুকাল ধরেই বাঙালির ঘরে চটজলদি খাবার বা ফাস্ট ফুড হিসেবে গণ্য হয়ে এসেছে৷ গৃহস্থ ঘরে চিঁড়ে-মুড়ি সহজলভ্য৷ এখন সেখানে ঢুকে পড়েছে হেলদি ব্রেকফাস্ট। চিঁড়েতেও অনেক গুণ আছে। চিঁড়েতে ফাইবার খুব একটা বেশি থাকে না। তাই এটি পেটের রোগ যেমন কোলাইটিস ও ডায়রিয়া রোধ করে। চিঁড়ে পেট ঠান্ডা রাখে। তাই গরমকালে অনেকেই দুধ বা দই দিয়ে চিঁড়ে মেখে খান। চিঁড়েতে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম, দুটোই কম থাকে। তাই এটি কিডনিকে কোনওভাবে প্রভাবিত করে না। রইলো চিড়ে দিয়ে তৈরি রেসিপি(Evening Snacks Recipe)।

আরও পড়ুন:Dry Food for Travel: ঘুরতে যাচ্ছেন? ব্যাগে রাখুন এই শুকনো খাবার
উপকরণ
চিঁড়ে-১-১/২ কাপ, গরম দুধ-১/২ কাপ, ডিম-৪টে, নুন-স্বাদমতো, পেঁয়াজ কুঁচি-১টা বড় মাপের, কাঁচালঙ্কা কুঁচি-স্বাদ অনুযায়ী, গোলমরিচ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, সাদা তেল-২চা চামচ, টমেটো ও ক্যাপসিকাম কুঁচি-সামান্য, চিজ।
পদ্ধতি
প্রথমে কড়াইতে চিঁড়ে দিয়ে দিন। ৫-১০ মিনিট শুকনো খোলায় ভাজুন। এর পর গ্রাইন্ড করে নিন। গ্রাইন্ড করা চিঁড়ের সঙ্গে একে একে সমস্ত উপকরণ দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে। একটা পাত্রে তেল গরম করে নিন। এর পর সমস্ত মিশ্রণটা দিয়ে দিন। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে। তাতে টমেটো ও ক্যাপসিকামের টুকরো দিয়ে উপর থেকে চীজ দিয়ে রোলের আকারে গড়ে নিলেই তেরি হয়ে যাবে চিঁড়ের রোল।
