ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বর্তমানে কিউআর কোডেরই(Tree QR Code) সব দিকে বেশি প্রচলন। পকেটে মানিব্যাগ নিতে সুবিধাবোধ করছেন না নতুন প্রজন্ম। পেমেন্ট থেকে ঠিকানা, একটা স্ক্যানেই সবটা জানা যাচ্ছে। কিউআর কোড স্ক্যান করলে গাছ নিজেই দিচ্ছে তার পরিচয়, তুলে ধরছে নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও। প্রায় চার মাস আগে এই কাজ শুরু করেছিল চন্দননগর পুরসভা। ১২ জানুয়ারি থেকে চন্দননগরে গাছ বলছে নিজের কথা।
প্রাচীন শহরের বিবর্তনের সাক্ষী প্রাচীন গাছ (Tree QR Code)
চন্দননগরের পরিচিতি সাবেক ফরাসডাঙা, জগদ্ধাত্রী পুজোর শহর, আলোর শহর বলেই। আলোর পাশাপাশি প্রাচীন ফরাসি এই উপনিবেশ শহরে আজও রয়েছে সেই আমলের একাধিক সৌধ। কয়েক শতাব্দী প্রাচীন শহরের বিবর্তনের সাক্ষী হয়ে আজও বেঁচে রয়েছে বহু প্রাচীন গাছ। এবার সেই গাছেদের জন্য তৈরি করা হল পরিচয় পত্র(Tree QR Code)। সময় লাগলেও এই কাজ করেছে চন্দননগর পুরনিগমের জীব বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা কমিটি অর্থাৎ বায়ো ডাইভারসিটি ডিপার্টমেন্ট।
গাছ নিজেই দেবে তার পরিচয় (Tree QR Code)
গাছের QR Code স্ক্যান করলেই মিলবে যাবতীয় তথ্য। কোন প্রজাতির গাছ। সাধারণত কি নামে সেটিকে ডাকা হয়। বয়েস কত। কোথায় পাওয়া যায় ইত্যাদি। কাউকে আর জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই, এবার থেকে গাছ নিজেই তার পরিচয় দেবে! তার নিচে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান(Tree QR Code) করলেই যাবতীয় কৌতুহল মিটবে। অভিনব এই উদ্যোগ দেখা যাবে চন্দননগরে।
আরও পড়ুন:Passport App: জাল পাসপোর্ট আর ‘না’,পাসপোর্ট যাচাইয়ের নতুন অ্যাপ
কারা নিয়েছেন এই উদ্যোগ?
চন্দননগর পুরসভার বায়োডাইভার্সিটি ডিপার্টমেন্ট-এর উদ্যোগে এই কাজ করা হয়েছে। চন্দননগর স্ট্র্যান্ড রোডে গভর্মেন্ট কলেজের সামনে গঙ্গার পাড়ে অনেক প্রাচীন গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছের আলাদা কিউআর কোড(Tree QR Code)। প্রাথমিক ভাবে চন্দননগর পাতাল বাড়ি থেকে স্ট্র্যান্ড ঘাট ও বড়বাজার লাগোয়া এলাকায় ২৪৯টি গাছের পরিচয় পত্র তৈরি হয়েছে। স্থানীয় মানুষ থেকে পর্যটক, সেই কিউআর কোড স্ক্যান করে জানতে পারবেন গাছের পরিচয়। গাছটি কোন প্রজাতির, কত বয়স, কী উপকারিতা , কোথায় কোথায় পাওয়া যায়, যাবতীয় তথ্যই জানা যাবে।
১২ টি গাছের গায়ে কিউআর কোড
১২ জানুয়ারি ছিল বিবেকানন্দের জন্মদিন, যা যুব দিবস বলে পরিচিত। তাই ১২ টি গাছের গায়ে কিউআর কোড-এর উদ্বোধন হল। কিউআর কোড আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী। চন্দননগর রানিঘাটে ৩০০ বছরের প্রাচীন একটি বট গাছের কিউআর কোড স্ক্যানও করেন তিনি।পরে বাকি সব গাছের কিউআর উদ্বোধন করা হবে। এর ফলে শহর বাসীর পাশাপাশি যারা চন্দননগর স্ট্যান্ডে ঘুরতে আসেন যারা তারাও খুশি। সকলেই বলছেন, এটা একটা অভিনব ব্যাপার। এ দিন রানী ঘাটে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরনিগমের পরিবেশ দপ্তরের মেয়র পারিষদ শুভেন্দু মুখার্জি, জীববৈচিত্র্য কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত মোদক, সম্পাদক সোমনাথ চ্যাটার্জি, মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য দপ্তর শুভজিৎ সাউ প্রমুখ।
আরও পড়ুন:GST Portal Down: জিএসটি পোর্টাল বন্ধ! উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা
কী বলছেন মেয়র?
মেয়র বললেন, “চন্দননগর শহরের ইতিহাস অনেক। বহু মানুষ বিদেশ থেকেও চন্দননগর শহরে আসেন। তাঁরা এই প্রাচীন গাছগুলি সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চান। আমরা তাই এই ব্যবস্থা করেছি। গাছের নম্বর দেওয়া হয়েছে। তেমনই আবার লাগানো থাকবে QR কোড। যেটি স্ক্যান করলে গাছ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।” এই অভিনব উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রা। ছাত্র-ছাত্রীরা বলছেন এতে তাদের পড়াশোনার উপকার হবে।