ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভমেলা (Tribeni) শেষ হতে চলেছে শিবরাত্রিতে। তবে যাঁরা কুম্ভস্নান করতে পারেননি, তাঁদের জন্য হুগলির ত্রিবেণী একটি বিকল্প তীর্থস্থান। হুগলির ত্রিবেণীতে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলকে ‘দক্ষিণ প্রয়াগ’ বলা হয়।
তিন নদীর মিলনস্থল (Tribeni)
প্রাচীনকাল থেকেই এই স্থান হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে (Tribeni) পবিত্র বলে বিবেচিত। প্রয়াগরাজের মতো এখানেও তিন নদীর মিলন ঘটেছে।
‘মুক্তবেণি’ ত্রিবেণী
তবে পার্থক্য হল, প্রয়াগে নদীগুলো সম্পূর্ণভাবে মিশে গেছে, যাকে ‘যুক্তবেণি’ বলা হয়। অন্যদিকে, হুগলির ত্রিবেণীতে নদীগুলো পরস্পরকে ছুঁয়ে আলাদা হয়ে গেছে, তাই এটিকে ‘মুক্তবেণি’ বলা হয়।
আরও পড়ুন: Mahashivratri 2025: জেনে নিন মহা শিবরাত্রির দিন কী করবেন এবং কী করবেন না
সপ্তর্ষির ঘাট
ত্রিবেণীর মাহাত্ম্য ‘স্কন্দপুরাণ’-এ উল্লেখ রয়েছে। এখানে সাত ঋষি সিদ্ধিলাভ করেছিলেন বলে কথিত আছে। ৭০০ বছর আগে পর্যন্ত এখানে কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হত।
৭০০ বছর পর আবার কুম্ভ
২০২২ সাল থেকে ৭২৪ বছর পর আবারও ত্রিবেণীতে কুম্ভমেলার আয়োজন শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে মাঘী পূর্ণিমার সময় তিন দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভমেলার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

পবিত্র স্থান
ত্রিবেণী শুধু ধর্মীয় তাৎপর্যেই নয়, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এটি বাংলার প্রাচীন সপ্তগ্রামের অংশ, যা এক সময় বাংলার অন্যতম প্রধান বন্দর ছিল। হুগলির ত্রিবেণী আজও ভক্তদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে সমাদৃত।