ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো (Trump and Musk) উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ইলন মাস্ক এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্কের জটিলতার কারণে। একসময় ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে পরিচিত দু’জন এখন যে রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে পড়েছেন, তা দেশের রাজনৈতিক বাজারে আলোড়ন তুলেছে। সম্প্রতি ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সম্পূর্ণ শেষ, এবং তিনি আর মাস্কের সঙ্গে কথা বলার কোনও ইচ্ছা রাখেন না।
মাস্ককে বিশেষ পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ (Trump and Musk)
মাস্ক ও ট্রাম্পের বন্ধুত্ব ছিল একসময় অত্যন্ত (Trump and Musk) শক্তিশালী। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাস্ক রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন এবং ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্ককে বিশেষ পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্পের সরকারের একটি দফতরও মাস্কের জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল, যা সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর কাজে নিয়োজিত ছিল। একসময় তাঁরা একে অপরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সমর্থক ছিলেন।
মাস্ক এই বিলের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা করেছেন (Trump and Musk)
কিন্তু সম্প্রতি ট্রাম্পের সরকারের একটি বিতর্কিত বিল মাস্কের কদর (Trump and Musk) হ্রাস করল। এই বিলটি হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাশ হয়েছে এবং এখন সেনেটে পাশ হওয়ার অপেক্ষায়। মাস্ক এই বিলের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁর মতে, বিলটি দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর এবং সরকারের সাশ্রয়ের কাজ ব্যাহত করবে। এই বিলের কারণে মাস্ক প্রশাসন থেকে ইস্তফা দেন এবং বিলের কঠোর সমালোচনা শুরু করেন। এমনকি মাস্ক আলাদা রাজনৈতিক দল গঠনের কথাও উল্লেখ করেছেন।
মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ
ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে বলেন, মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে, আর মেরামতের ইচ্ছাও নেই। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি মাস্ক এই বিল আটকাতে ডেমোক্র্যাটদের দিকে ঝুঁকে সাহায্য করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে ট্রাম্প খোলসা করেননি কী ধরনের পদক্ষেপ হবে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল
ট্রাম্প আরও জানান, তাঁরা আশা করছেন বিলটি সেনেটে পাশ হবে এবং ভোটদাতারা এই বিলের পক্ষে আরও উৎসাহ নিয়ে ভোট দেবেন। কিন্তু অনেকের ধারণা, সেনেটে বিল পাশ করানো সহজ হবে না, কারণ সেখানে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাও কম নয়। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, মাস্ক যদি ডেমোক্র্যাটদের অর্থ সাহায্য করেন, তাহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: Manipur Situation: মণিপুরে অশান্তি, বিক্ষোভ-পুলিশ সংঘর্ষ, ইন্টারনেট বন্ধ ও জারি কারফিউ!
এই মিথস্ক্রিয়া মার্কিন রাজনীতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। একদিকে মাস্কের অর্থনৈতিক প্রভাব ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অবদান থাকলেও, অন্যদিকে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান এবং বর্তমান ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মার্কিন রাজনীতির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে। আগামী দিনে এই দ্বন্দ্বের পরিণতি কী হবে, তা এখনই বলা মুশকিল। তবে স্পষ্ট যে, মাস্ক-ট্রাম্পের সম্পর্কের এই পরিবর্তন মার্কিন রাজনীতির পটভূমিতে বড় সাড়া ফেলবে।