ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Trump-Modi Meet) ফ্রান্স থেকে আমেরিকা পৌঁছেছেন এবং১৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও বৈঠকের আগেই দুই নেতার বৈঠকের আগেই ভারত-আমেরিকা চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
অস্ত্র কেনার চুক্তির ইচ্ছা প্রকাশ ট্রাম্পের (Trump-Modi Meet)
ডোনাল্ড ট্রাম্প(Trump-Modi Meet) চান আমেরিকার কাছ থেকে আরও বেশি করে অস্ত্র ক্রয় করুক ভারত। সম্প্রতি, ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন, সেই সময়েও তিনি অস্ত্র কেনার চুক্তির ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইচ্ছা অনুযায়ী ভারত আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র কিনলে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক মজবুত হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
বেশিরভাগ অস্ত্রই রাশিয়া থেকে (Trump-Modi Meet)
ভারতীয়(Trump-Modi Meet) সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রই রাশিয়া থেকে কেনা হয়েছে। ভারতের MiG-21 বিমান হোক বা S-400 মিসাইল সিস্টেম, ভারত এই সবই রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছে। ভারত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কেনে রাশিয়ার থেকে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত প্রায় ৮০ শতাংশ নিরাপত্তা সরঞ্জাম রাশিয়ায় তৈরি। রাশিয়ার মোট অস্ত্র রফতানিতে ভারতের অংশ ৩৬ শতাংশ। দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। ভারত যদি তার প্রতিরক্ষা ব্যবসার কিছু অংশ রাশিয়া থেকে আমেরিকায় সরিয়ে নেয়, তাহলে রাশিয়া্র জন্য তা খুব ভালো হবে না অবশ্যই।
আরও পড়ুন:Gulf Of America: মেক্সিকো উপসাগর এখন ‘গাল্ফ অফ আমেরিকা’, ট্রাম্পের নির্দেশ কার্যকর গুগলে
বিমান কেনার চুক্তি করতে পারে দিল্লি
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার পরে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম ওয়াশিংটন সফরে আমেরিকা থেকে সি-১৩০ হারকিউলিস সামরিক পরিবহণ বিমান, পি-এআইটআই সামুদ্রিক নজরদারি বিমান কেনার চুক্তি করতে পারে দিল্লি(Trump-Modi Meet)। পরমাণু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হবে। জিই এবং ওয়েস্টিংহাউসসংস্থা থেকে পরমাণু চুল্লি কেনার বিষয়েও কথা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রই প্রধান বিষয় হতে পারে
দু’দেশের বৈঠকে এ বার মূলত শুল্ক, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রই প্রধান বিষয় হয়ে উঠবে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। মোদির আমেরিকা সফর নিশ্চিত হওয়ার আগেই, ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হলে ভারতে রাজনৈতিক ঝড় শুরু হয়। এ বিষয়েও কথা হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের আগে গত ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটে মোদী সরকার ২০টি আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। আমেরিকার সংস্থাগুলি যাতে ভারতের পরমাণু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে লগ্নি করতে পারে, তার জন্য পরমাণু দুর্ঘটনা দায়বদ্ধতা আইন সংশোধন করার ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:Trump-Adani: ঘুষ দেওয়া নয় অপরাধ, ট্রাম্পের নির্দেশিকায় স্বস্তিতে আদানি?
ভারতের চড়া শুল্ক নিয়ে ক্ষোভ
ক্ষমতায় ফেরার আগে থেকেই ট্রাম্প ভারতের চড়া শুল্ক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ভারত আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে চড়া শুল্ক চাপায় বলে অভিযোগ খারিজ করতেই বাজেটে ২০টি পণ্যে চড়া শুল্ক কমানো হয়েছে। মোট ২৮টি পণ্যে চড়া শুল্ক ছিল। এর মধ্যে ৮টি পণ্যে আগেই চড়া শুল্কপ্রত্যাহার করা হয়েছিল। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই ১০-১২টি পণ্যের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে যেখানে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড় দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ইলেকট্রনিক পণ্য এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম। কূটনীতিকরা মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে মোদীর প্রথম সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে নতুন ঘোষণা হতে পারে।