ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পরকীয়ার ফল হাতে নাতে ভুগতে হল মহিলাকে। তিনবার সালিশি সভায় বসিয়ে থামানো গেল না প্রেম-আলাপ। প্রথম স্বামীকে ছেড়ে যার ওপর ভরসা রাখল, তার হাতেই প্রাণ দিতে হল। ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে নিজের স্ত্রীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে (Unpleasant Death) ফেলার অভিযোগ দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে। খবর বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে মা-বাবা। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর দক্ষিণ ঘোষপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, দক্ষিণ ঘোষপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফজল চৌধুরীর মেয়ে রিমা খাতুনের বিয়ে হয় প্রায় ১২ বছর আগে। জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে যুবকের সঙ্গে প্রথম বিয়ে সারেন রিমা। দুজন কন্যা সন্তানের জন্মও দিয়েছেন তারা। পরবর্তীতে জয়কৃষ্ণপুর গ্রামেরই তাদের পাশের বাড়ির এক যুবকের সঙ্গে ভালোবাসার মায়াজালে আটকে পড়ে রিমা। স্বামী থাকা সত্ত্বেও আতু শেখ নামে ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের টান রুখতে পারেনি রিমা। অন্য সংসার পাতানোর স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি ছাড়তেও দু’বার ভাবেনি। দুই সন্তানকে ফেলে রেখে চলে যায় আতুর হাত ধরে।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় লটারির মাধ্যমে দুর্নীতি! বেশ কয়েকটি জায়গায় একযোগে তল্লাশি ইডির
আরও পড়ুন: চলবে ইন্টারলকিংয়ের কাজ, বাতিল প্রায় ২০০ ট্রেন
যদিও গ্রামবাসীরা মানতে চায়নি তাদের সম্পর্ক। রিমা বিবিকে নিয়ে সালিশি সভা বসায় গ্রামবাসীরা। সেখান থেকে মীমাংসা করে প্রথম স্বামীর সঙ্গেই সংসার করানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা। এইভাবে প্রায় তিনবার সালিশি সভা বসেছে গ্রামে। কিন্তু তারপরেও রিমাকে প্রথম স্বামীর সঙ্গে সংসারে আটকে রাখা যায়নি।
প্রায় ৬ মাস আগে আতু শেখ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রথম স্বামীর সংসার থেকে কেরালায় নিয়ে চলে যায় রিমা বিবিকে। তারপর সেখানে রিমার ওপর আতু ক্রমাগত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ মেয়ের বাবার। অভিযোগ, বুধবার রাতে কেরালায় রুমের ভিতরে গলায় ফাঁস দিয়ে (Unpleasant Death) ঝুলিয়ে রেখে আতু শেখ পালিয়ে যায় সেখান থেকে। মৃতদেহ উদ্ধার করে কেরালার স্থানীয় থানার পুলিশ। সেখানেই হয় ময়নাতদন্ত। আজ গ্রামের বাড়িতে দেহ ফিরবে সে আশায় বসে পরিবারসহ সকলে। জানা গেছে, জলঙ্গি থানায় আতু শেখের নামে লিখিত অভিযোগ করেন মৃতের পরিবার। কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।