ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের(India-Pak Tension) মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের অভিযোগ, ওই ঘটনায় সীমান্তপারের যোগ রয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। এই আবহে পাকিস্তানের অনুরোধে পহেলগাঁও-ইস্যুতে সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে রুদ্ধদ্বার আলোচনা। কিন্তু বৈঠক শেষে ফল?
নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনায় কড়া প্রশ্নের মুখে পাকিস্তান(India-Pak Tension)
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে(India-Pak Tension) নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলির বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পাকিস্তানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনায় লশকর-এ-ত্যায়বার কোনও যোগ রয়েছে কি না! দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।
বৈঠকে জঙ্গিহানার তীব্র নিন্দা(India-Pak Tension)
এএনআইয়ের প্রতিবেদনে দাবি, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জঙ্গিহানার নিন্দা করা হয়েছে। পর্যটকদের যে ভাবে হত্যা করেছে জঙ্গিরা, সেই ঘটনারও নিন্দা করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে(India-Pak Tension)উপস্থিত কূটনীতিকদের কেউ কেউ। পাকিস্তানের একাংশ যে ভাবে পরমাণু শক্তির বিষয়ে কথা বলছেন বা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে, তাতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলেও বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা। এএনআই সূত্রের দাবি, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই উদ্ভূত পরিস্থিতি মিটমাট করার জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের এই বৈঠকের আগে ভারতের তরফে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সৈয়দ আকবরউদ্দিন সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, ‘এমন ধরণের বৈঠক থেকে কোনও ফলাফলের প্রত্যাশা রাখা উচিত নয়।’ এরপরই পাকিস্তানকে ইঙ্গিতে দুষে তিনি বলেন, ‘যেখানে একটা পক্ষ ক্রমাগত ভ্রান্ত ধারণা তৈরির চেষ্টা করে। সেখানে ফলের আশা করা উচিত নয়।’
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ‘পাকিস্তান’
বর্তমানে পাকিস্তান রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। চলতি মাসে পরিষদের সভাপতিত্ব করছে গ্রিস। তাদের উদ্যোগেই সোমবারের বৈঠকের সূচি নির্ধারণ করা হয়। এই পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল, আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্স। এছাড়াও দু’বছরের জন্য ১০টি করে দেশকে স্থায়ী সদস্য করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ‘রুদ্ধদ্বার আলোচনা’র জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের অনুরোধেই ওই আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। বৈঠক শেষে বিভিন্ন দেশের দূতেরা পৃথক পৃথক ভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন। তবে সরকারি ভাবে নিরাপত্তা পরিষদের তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: Impersonating Army Major: কর্নেল পরিচয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি! গ্রেফতার প্রতারক
পহেলগাঁও কাণ্ডের দায় স্বীকার করেও পরে অস্বীকার টিআরএফএর
বস্তুত, লশকর-ই-ত্যায়বা হল একটি পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী। লশকরের ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) প্রথমে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানার দায় স্বীকার করেছিল। পরে আবার নিজেদের বক্তব্য পরিবর্তন করে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছিল তারা। নতুন বিবৃতিতে টিআরএফ জানিয়েছিল, পহেলগাঁও কাণ্ডে তাদের কোনও যোগ নেই। প্রথমে দায় স্বীকার করেও পরে অস্বীকার করাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নও উঠেছিল। এই আবহে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে লশকর সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পাকিস্তানকে।