ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: একদিকে রাশিয়ার সঙ্গে কমছে দূরত্ব! অন্যদিকে আবার নেটোর থেকে সরে যাওয়ার কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (USA-EU Relation)। এরই মধ্যে আমেরিকার নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্ত চিনের রক্তচাপ বাড়াবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ।
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন (USA-EU Relation)
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এই প্রথম দূরপাল্লার হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা (USA-EU Relation)। ইতিমধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সমস্ত প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। শব্দের চেয়েও পাঁচ গুণ বেশি গতিতে উড়ে গিয়ে নিখুঁত নিশানায় হামলার ক্ষমতা রয়েছে এই দূরপাল্লার হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের। তবে এখনও অবশ্য স্পষ্ট করে আমেরিকার তরফে কিছু জানানো হয়নি এই হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় মোতায়েন করা হবে।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা (USA-EU Relation)
গত ফেব্রুয়ারিতে এক মার্কিন প্রতিরক্ষা আধিকারিক, এই বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো বেশ কঠিন, সেই চ্যালেঞ্জের কারণেই সেই ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েনের ক্ষেত্রে এত বিলম্ব হচ্ছে (USA-EU Relation)। এই বছরেই এই ক্ষেপণাস্ত্র গুলি মোতায়েন করা সম্ভব হবে। হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে রাশিয়া এবং চিন প্রচুর অর্থ খরচ করেছে। এই দুটি দেশই একের পর এক হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র করছে। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে রাশিয়াকে। এজন্য আমেরিকা নিজের জায়গা ধরে রাখতে ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে চলেছে।

রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা
ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। আমেরিকা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকার এই পদক্ষেপে খুশি হয়েছে রাশিয়া। এজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশংসাও করেছেন পুতিন। এতে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে দূরত্ব অনেকটা কমলো বলেই মনে করছেন।
ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল
ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্কে ফাটল তৈরি করেছে। আমেরিকায় গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কিকে। তারপর ব্রিটেনে গিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানেই খানিকটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে ফাটল তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bangladesh: ২০২৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই বাংলাদেশে হতে পারে নির্বাচন
শুল্ক যুদ্ধ
ক্ষমতায় আসার পরেই ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক যুদ্ধে নেমেছে।এই তালিকায় রয়েছে চিন, কানাডা ও মেক্সিকো-এর মতো দেশ। অতিরিক্ত হারে শুল্ক চাপানোর কারণে ইতিমধ্যেই এই দেশ গুলির সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিনও। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।