ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার (Uttarkashi Flash Flood) হর্ষিল উপত্যকার ধরালী ও হর্ষিল গ্রামে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের রেশ কাটতেই শুরু হয়েছে অন্য এক বিতর্ক। ভয়ঙ্কর হড়পা বান ও মাটি ধসের জেরে যে সমস্ত পরিবার গৃহহীন হয়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল রাজ্য সরকার। ঘোষণা হয়েছিল পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ। তবে বাস্তবে গৃহহীনদের হাতে যখন মাত্র পাঁচ হাজার টাকার চেক এসে পৌঁছল, তখন থেকেই শুরু বিপত্তি!
লোকদেখানো ক্ষতিপূরণ! (Uttarkashi Flash Flood)
ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার প্রশ্ন তুলেছেন, এই সামান্য অর্থে কি আদৌ কোনও ঘর নির্মাণ সম্ভব (Uttarkashi Flash Flood)? জমি, বাড়ি, জিনিসপত্র সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়া পরিবারগুলির অনেকেই এই টাকা নিতে অস্বীকার করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এমন ক্ষতিপূরণ নিছকই লোকদেখানো, বাস্তব সমস্যার কোনও সমাধান নয়।
‘তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ’ (Uttarkashi Flash Flood)
রাজ্য প্রশাসনের তরফে যদিও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে-এই অর্থ ‘তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ’ (Uttarkashi Flash Flood)। উত্তরকাশীর জেলাশাসক প্রশান্ত আর্য জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করার পরেই মূল ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে। আপাতত জরুরি প্রয়োজন মেটাতেই এই সামান্য সহায়তা।
মূল ক্ষতির পরিমাণকে কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা!
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রশাসনের এই ব্যাখ্যায় তাঁরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। কারণ অতীতে বহুবার দেখা গেছে, প্রাথমিক ঘোষণা আর চূড়ান্ত ক্ষতিপূরণের মধ্যে বিস্তর ফারাক থেকে যায়। এছাড়া তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রশাসন মূল ক্ষতির পরিমাণকে অনেকটাই কমিয়ে দেখাতে চাইছে।
ভয়াবহ হড়পা বান
গত ৫ অগস্টের এই ভয়াবহ হড়পা বান উত্তরকাশীর দুই গ্রামের মানুষের জীবন ও জীবিকা সম্পূর্ণ ওলটপালট করে দিয়েছে। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, ধরালীর অন্তত ৩৫টি পরিবার সম্পূর্ণভাবে ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে। হর্ষিল গ্রামের অবস্থাও আলাদা নয়। আশ্রয়হীন হয়ে পড়া বহু মানুষ আজ দিশেহারা। কোথা থেকে শুরু করবেন নতুন করে, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁদের মনে।

আরও পড়ুন: Khan Sir Raksha Bandhan: রাখির ভারেই বন্ধ রক্ত চলাচল, কেমন আছেন খান স্যার?
কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে
ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা বলেছিলেন গৃহহীন ও মৃতদের পরিবারগুলির জন্য। সেই ক্ষতিপূরণের প্রকৃত অঙ্ক নির্ধারণে তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে বলেও জানানো হয়েছে।