ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ৪৬,০০০ পুলিশ পোস্ট (WB Police) খালি রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ পরিচালক কর্তৃক নির্বাচন কমিশনকে (ECI) প্রদান করা তথ্যের ভিত্তিতে এই খবর জানা গেছে। এই খালি পোস্টগুলোর মধ্যে প্রায় ৩০,০০০টি কনস্টেবলের পদ, যাঁরা পুলিশ বাহিনীর মূল ভিত্তি। বাকি পদগুলি অন্যান্য র্যাঙ্কের জন্য খালি রয়েছে, যেখানে সর্বাধিক শূন্যপদ সাব-ইন্সপেক্টর বা সমপর্যায়ের র্যাঙ্কের জন্য বরাদ্দ।
নির্বাচনকে মাথায় রেখেই তথ্য (WB Police)
নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি রাজ্য সরকারের কাছে পুলিশ বাহিনীর বর্তমান (WB Police) স্ট্রেন্থের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে, যা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ। রাজ্য পুলিশ পরিচালক জানিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে মোট পুলিশ কর্মী সংখ্যা প্রায় ৮০,০০০, এবং খালি পদগুলোর সংখ্যা মোট অনুমোদিত পদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।
বড়ো সমস্যার সৃষ্টি! (WB Police)
পুলিশের শূন্যপদগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, কারণ পশ্চিমবঙ্গের মতো (WB Police) একটি বৃহৎ রাজ্যের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু নির্বাচন আসন্ন, তাই এই সংখ্যাটি বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয়। পুলিশ বাহিনীর কার্যকরী শক্তি কমে যাওয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বড়ো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
বিতর্কের জের
এছাড়া, নির্বাচনের জন্য পুলিশ বাহিনীকে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF) এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সঠিক অনুপাত নির্ধারণ করবে। যদিও রাজ্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ নির্বাচনী দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে, তবুও অতীতে তাদের ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
আইনের বিরুদ্ধে কাজ
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া কাজের বাইরে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে, যা আইন এবং আদালতের নির্দেশনার বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে যে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিযুক্ত করা যাবে না।

আরও পড়ুন: West Bengal: ভাগ হল কাজের দায়িত্ব, দায়িত্ব ভাগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল নগরোন্নয়ন দফতর
এখন প্রশ্ন উঠছে, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশের শূন্যপদের সংখ্যা কতটা প্রভাব ফেলবে। জনগণের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন রাখতে হলে পুলিশ বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি জরুরি। রাজ্যের জন্য একটি শক্তিশালী পুলিশ বাহিনী অপরিহার্য, এবং নির্বাচন কমিশনের উচিত এই পরিস্থিতির প্রতি মনোযোগ দেওয়া। জনসাধারণের মধ্যে নিরাপত্তা এবং বিশ্বাস বজায় রাখতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।