ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাত পোহালেই রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By-election)। ভোট রয়েছে মেদিনীপুর বিধানসভা আসনেও। মঙ্গলবার থেকেই বুথে বুথে প্রস্তুতি তুঙ্গে। নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত ভোট কর্মীরা মেদিনীপুর কলেজের ডিসিআরসি সেন্টারের থেকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইভিএম মেশিন ও ব্যালট বক্স সংগ্রহ করে পাড়ি দিচ্ছেন নির্বাচনী বুথের উদ্দেশ্যে। কড়া পুলিশি প্রহরায় চলছে নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত মেশিনপত্র বিলি ও কাগজপত্র হস্তান্তরের কাজ।
মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে ২৫টি ওয়ার্ড। মেদিনীপুর সদর ব্লকের ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং শালবনি ব্লকের ৫টা গ্রাম পঞ্চায়েত। মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৩০৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯১ হাজার। যার মধ্যে ভোট কর্মী প্রায় ১৫০০ জন। মেদিনীপুর বিধানসভা (medinipur assembly ) কেন্দ্রে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সিপিআই প্রার্থী জিতেছেন। শেষবার এখানে জিতেছিলেন সিপিআই প্রার্থী পূর্ণেন্দু সেনগুপ্ত। তারপর ২০১১ এবং ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মৃগেন মাইতি জয়ী হয়েছিলেন। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর এই কেন্দ্রের বিধায়ক হন জুন মালিয়া।
আরও পড়ুন: কয়েকদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার বাড়ল সুরক্ষা! ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটিগরি নিরাপত্তা পেলেন কাজল শেখ
আরও পড়ুন: ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত থেকে সংশোধন, একগুচ্ছ নির্দেশিকা প্রকাশ কমিশনের
এখানের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জেলা সভাপতি তথা ক্রীড়া সংগঠক সুজয় হাজরা। যিনি পাঁচবারের ভোট ম্যানেজার। প্রয়াত বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতির ছায়াসঙ্গীও ছিলেন। তাই হাতের তালুর মতো চেনেন মেদিনীপুর বিধানসভার শহর, গ্রাম, পথঘাট এবং অলিগলি। ভোট কর্মীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, এই নির্বাচনে যে পরিমাণ পুলিশি ব্যবস্থাপনা রয়েছে তাতে তারা অনেকটাই আস্বস্ত বোধ করছেন।
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন জুন মালিয়া, যিনি মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন। তার ছেড়ে যাওয়া আসনে এবার হচ্ছে উপনির্বাচন। এবার নির্বাচনে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল এবং গেরুয়া শিবির সকলেই প্রার্থী দিয়েছে। প্রতিটি দলই নিজেদের জয় সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রচার চালিয়েছে। আগামীকাল নির্বাচন এবং তারপরেই বোঝা যাবে মেদিনীপুর বিধানসভার নতুন বিধায়ককে হতে চলেছেন।