ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হোয়াইট হাউসে ৪ঠা জুলাই উদযাপন করা হয়েছে সারম্বরে (White House 4 July celebrations)। ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আকাশে গর্জে উঠল বি-২ বোমারু বিমান।
হোয়াইট হাউসে যুদ্ধবিমানের উড়ান (White House 4 July celebrations)
শুক্রবার (৪ জুলাই, ২০২৫) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষর করলেন তাঁর প্রধান কর এবং ব্যয় বিল ‘One Big Beautiful Bill’-এ (White House 4 July celebrations)। এই বিলটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে। হোয়াইট হাউসে এক বর্ণাঢ্য স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবেই এই স্বাক্ষরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে একটি স্টেলথ বোমারু বিমানের উড়ান ছিল বিশেষ আকর্ষণ। বিলটিতে স্বাক্ষরের আগে ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকা এখন জয় ছিনিয়ে নিচ্ছে, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।” ট্রাম্পের পাশে ছিলেন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যরা, যাঁদের সহায়তায় কংগ্রেসে বিলটি পাশ হয়েছে। ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের বারান্দা থেকে তিনি দেখেন সামনে উড়ে যাচ্ছে দুটি স্টেলথ যুদ্ধবিমান, যেগুলো সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক ব্যবস্থা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। তাদের সঙ্গেই ছিল এফ-৩৫ এবং এফ-২২ ফাইটার জেট।
প্রচার-পর্বের প্রতিশ্রুতি পূরণ (White House 4 July celebrations)
এই নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ট্রাম্পের বহু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (White House 4 July celebrations)। প্রথম মেয়াদের কর ছাড়ের মেয়াদ বৃদ্ধি, সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি, এবং অভিবাসীদের বিতাড়নের জন্য বিপুল নতুন অর্থ বরাদ্দ—সবই রাখা হয়েছে এই আইনে। এই আইন পাশ হওয়ার মাধ্যমে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সময়ের একাধিক রাজনৈতিক জয় সম্পূর্ণ হল। গত দুই সপ্তাহে তাঁর নেতৃত্বে রিপাবলিকান পার্টির দখল আরও সুদৃঢ় হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সাফল্য ছিল ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি, যা ট্রাম্প ‘ত্রুটিহীন’ মার্কিন বিমান হামলার ফল বলে দাবি করেন।
আরও পড়ুন: Indian-Origin Man: বিমানে সহযাত্রীর ওপর হামলা! ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক গ্রেফতার
সেনা পরিবারের জন্য পিকনিক
ইরানে বোমা বর্ষণকারী মার্কিন পাইলটদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল হোয়াইট হাউসের এই অনুষ্ঠানে। সেখানে দক্ষিণ লনে সেনা পরিবারের জন্য একটি পিকনিকও অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প বলেন, “গত দুই সপ্তাহ—জয়ের দিক থেকে এমন কিছু কখনও হয়নি।”
স্বাস্থ্যখাতে বড়সড় কাটছাঁট
নতুন এই আইন অনুযায়ী, কম আয়ের মার্কিন নাগরিকদের জন্য মেডিকেইড কর্মসূচিতে ১৯৬০ সালের পর এই প্রথম বড়সড় ছাঁটাই হতে চলেছে। পাশাপাশি, ফেডারেল ফুড অ্যাসিস্ট্যান্স বা খাদ্য সহায়তায়ও বাজেট কমানো হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, প্রায় ১.৭ কোটি মানুষ তাঁদের স্বাস্থ্যবীমা হারাতে পারেন। বহু গ্রামীণ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই কারণে। তবে এসব সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “বিরোধীরা একটা স্ট্যান্ডার্ড লাইন তৈরি করেছে—‘ওহ, এটা বিপজ্জনক। সবাই মরে যাবে।’ আসলে ঠিক তার উল্টোটা ঘটবে।”