Last Updated on [modified_date_only] by Suparna Ghosh
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মৃত্যদণ্ড(Death Sentence)! চরম অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি। সিনেমা বা ছোটপর্দায় আদালত দৃশ্যে এই রায় ঘোষণা হতে অনেকেই দেখেছেন। সেক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে দেখানো হয় একটা নিয়ম, রায়দানের পর কলমের নিব ভেঙে দিচ্ছেন বিচারপতি। বাস্তবেও এমনই ঘটে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এর আসল কারণ কী?
আজও মৃত্যুদণ্ডের পর ভাঙা হয় কলমের নিব(Death Sentence)
আদালতে(Court) ফাঁসির শাস্তি বা মৃত্যুদণ্ড(Death Sentence)ঘোষণা করে সাজার আদেশনামায় স্বাক্ষরের পর সেই কলম ঠুকরে নিব ভেঙে ফেলেন বিচারক বা বিচারপতি(Judges)। ব্রিটিশ সভ্যতা তথা উপনিবেশের এই রীতি আজও পালিত হয়ে আসছে ভারতে। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরে কলমের নিব ভেঙে দেওয়ার রয়েছে ইতিহাস। এই নিয়মের শুরু মুঘল আমলে। সেই সময়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা হত প্রায়শই। বিচারক যে পালক দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা লিখতেন, সেটি ভেঙে ফেলতেন। এরপর ব্রিটিশ আমলে এই সাজা শুনতে হয়েছে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীকে। সেখানেও নিব ভাঙার নিয়ম বদলায়নি। তখনই থেকেই চলে আসছে এই রীতি।
তিনটি কারণ এই রীতির পিছনে(Death Sentence)
কিন্তু কেন এমন রীতি? জানেন এর পিছনে কারণটা কী? মৃত্যুদণ্ড(Death Sentence)ঘোষণর পর নিব ভেঙে ফেলার পিছনে নানা রকম দার্শনিক ব্যাখ্যা হয়। কিন্তু, মূলত তিনটি কারণ রয়েছে এর পিছনে। বা বলা ভাল, তিন রকম ভাবনা থেকেই বিচারকরা এই কাজ করে থাকেন। এবার তাহলে সেই কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক-
প্রথমত, কোনও একটি পেন দিয়ে একবার মৃত্যুদণ্ডের(Death Sentence) সাজা লিখে ফেলার পর বিচারকরা ওই পেন দিয়ে ভবিষ্যতে আর কোনও বিচারের কাজ করতে চান না কারণ ওই পেনটিকে (মূলত নিবটি যা দিয়ে লেখা হয়) ‘অশুচি’ বলে মনে করা হয়। আসলে কারও জীবন কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে অশুভ ভাবা হয়।
আরও পড়ুন: Saraswati Puja 2025: ২ নাকি ৩ ফেব্রুয়ারি? ২০২৫ এ সরস্বতী পুজোর দিন কোনটি?
দ্বিতীয়ত, একবার ফাঁসির সাজা ঘোষিত হলে সেই রায়কে আর চ্যালেঞ্জ করা যায় না। তার প্রতীক হিসাবে ওই রায় লেখা হয়েছে যে পেন (পেনের নিব) দিয়ে তাকে ভেঙে ফেলে ওই রায়কেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একমাত্র উচ্চতর আদালত (নিম্নতর আদালত যদি রায় দিয়ে থাকে) কেবল সেই রায়কে পুনর্বিচার করতে পারে।
তৃতীয়ত, মনে করা হয় যে, বিচারক ‘অপরাধ বোধ’ থেকে পেনের নিব ভেঙে ফেলেন রায় দেওয়া বিচারক । কারণ, প্রান নেওয়ার ক্ষমতা শুধু ঈশ্বরেরই আছে বলে মনে করা হয়। তাই বিচারক পেনের নিব ভাঙার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেন যে তিনি শুধু তাঁর পেশাদারি দায়বদ্ধতাটুকুই সারলেন।
আরও পড়ুন: Washing Machine: জামাকাপড় ছাড়াও অনেক কিছুই কাচতে পারেন ওয়াশিং মেশিনে
যখন এই রীতি শুরু হয়েছিল তখন ফাউন্টেন পেনই ছিল লেখালেখির মূল মাধ্যম৷ অন্য কোনও পেন বা কলম সে সময় ছিল না৷ এখন নানা রকমের কলম থাকলেও সাধারণত মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সময় ফাউন্টেন পেন বা ঝর্না কলমই ব্যবহার করা হয়৷