ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেপ্তার হলেন খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি (TMC President Arrested)। বাড়ি ও তাঁর অফিস থেকে মিলল বেশ কিছু পরিমাণ মাদক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের ডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ছাড়াও আরও এক যুবককে পাকড়াও করা হয়েছে। ধৃত তৃণমূল নেতা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে মাদক পাচারের খবর এসেছিল। সেই অনুযায়ী অভিযান চালায় পুলিশ।
উদ্ধার হয়েছে ব্রাউন সুগার (TMC President Arrested)
গত সোমবার রাতে মাঝের ডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চল সভাপতি বিষ্ণু রায়ের (TMC President Arrested) বাড়িতে হানা দেন পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। বিষ্ণু রায় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবেও নিযুক্ত। বাড়ির অদূরেই রয়েছে তাঁর কার্যালয়। সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়। বাড়ি ও কার্যালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু পরিমাণ ব্রাউন সুগার। সোমবার গভীর রাতে মাদক বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।
তৃণমূল নেতা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত (TMC President Arrested)
৫২ গ্রাম মাদকসহ হাতে নাতে ধরা পড়েন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি (TMC President Arrested)। তার কাছে মাদক কিনতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি মালদায় বলে জানা গিয়েছে। ওই যুবক মালদহের বাসিন্দা। মাদক ডেলিভারির জন্য তিনি সেখানে এসেছিলেন। ধৃতদের থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, বেশ কিছু পরিমাণ টাকা ও কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। ওই তৃণমূল নেতা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। এমনই অনুমান পুলিশের। ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Sonajhuri Forest: দোলের দিনে সোনাঝুরি হাটে আবির খেলা নিষিদ্ধ করল বন দপ্তর
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মাদক পাচার
কেবল আলিপুরদুয়ার নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মাদক পাচার হচ্ছে। আর এই কাজে কেবল মদত নয়, সরাসরি তৃণমূলের নেতারা জড়িত। এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা। কিছুদিন ধরে উত্তরবঙ্গের ভুটান ও অসম সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় মাদক কারবারে বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
‘যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল’
স্থানীয় বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে। চাকরি নেই। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করে দিয়েছে তারা। যুব সমাজকে হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছে শাসকদল। এবার তাদের হাতে মাদক তুলে দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল।