ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরেই পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত রেখেছে ভারত। ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করায় ব্যাপক জলসঙ্কট চলছে পাকিস্তানের একাধিক জায়গায়। ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করায় শুকিয়ে মরার আশঙ্কায় পাকিস্তান। বিশ্বব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েও বিশেষ লাভ সম্ভবত হচ্ছে না ইসলামাবাদের। ভারত যদি চুক্তি বাতিল করেও তাতে কিছু বলার থাকবে না বিশ্বব্যাঙ্কের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে জানিয়ে দিলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা।
ব্যাপক জলসঙ্কট চলছে পাকিস্তানে (India-Pakistan Conflict)
পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত রেখেছে ভারত (India-Pakistan Conflict)। ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করায় ব্যাপক জলসঙ্কট চলছে পাকিস্তানের একাধিক জায়গায়। শুকিয়ে মরার আশঙ্কায় পাকিস্তান। জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের তরফে রীতিমতো হুংকার দিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, জলবন্ধ করলে পারমানবিক হামলা চালাতে পিছপা হবে না পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছিল ইসলামাবাদ। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। ভারত যদি চুক্তি বাতিল করেও তাতে কিছু বলার থাকবে না বিশ্বব্যাংকের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে জানিয়ে দিলেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা।
শর্তসাপেক্ষে বাঁধ তৈরি করতে পারে ভারত (India-Pakistan Conflict)
১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি সই করে ভারত ও পাকিস্তান। ১৯৬০ সালের চুক্তি মতে শতদ্রু, বিপাশা, রবি নদীর জল ব্যবহার করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার অধিকাংশ জলের ভাগ পেয়েছে পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। তবে ওই নদীগুলিতে শর্তসাপেক্ষে বাঁধ তৈরি করতে পারে ভারত। দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লির দাবি ছিল, সিন্ধু জলচুক্তিতে সংশোধন করতে হবে। কারণ ভারতের নদীবাঁধ দেওয়া নিয়ে বরাবর ইসলামাবাদের প্রবল আপত্তি। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসেও এই চুক্তিতে সংশোধন চেয়ে ইসলামাদকে কড়া নোটিসও পাঠায় ভারত (India-Pakistan Conflict)।
আরও পড়ুন: India Pakistan Tension: সংঘর্ষ-পরিস্থিতিতে ওয়াটার স্ট্রাইক ভারতের! চেনাবের ৪টি লকগেট খুলল ভারত
হস্তক্ষেপ করবে না বিশ্বব্যাংক
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির আবহেই বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা। তিনি বৈঠক করেছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গেও। সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় দুই পক্ষের। সূত্রের খবর, অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে তিনি আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন যে ভারত সিন্ধু চুক্তি বাতিল করলে তাতে হস্তক্ষেপ করবে না বিশ্বব্যাংক। অজয় বাঙ্গার কথায়, “আমরা শুধু ওই বিশেষজ্ঞদের খরচটা একটা তহবিল থেকে মেটাবো। ওই তহবিলও চুক্তির সময় তৈরি হয়েছিল। এর বাইরে আমাদের আর কোনও দায়িত্ব নেই।”
সমাধানের জন্য নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ
বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি হলেও সেই চুক্তিতে দুই দেশের অসন্তোষ বা আপত্তি নিয়ে মধ্যস্থতা করার দায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের নেই। অন্তত অজয় বাঙ্গার তাই দাবি। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ছেন, দুদেশের কেউ এই চুক্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করলে বিশ্বব্যাঙ্ক শুধু সেই সমস্যা সমাধানের জন্য নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ ঠিক করে দিতে পারে। নিজেরা মধ্যস্থতা করতে পারে না।